তৃতীয়বারের মতো চলছে ‘অনলাইন রেফ্রিজারেটর মেলা’। এবারের মেলা নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই।
এম এইচ এম ফাইরোজ: প্রথম আলো ডটকম আয়োজিত রেফ্রিজারেটর মেলা বাংলাদেশের কনজ্যুমার ডিউরেবলস ইন্ডাস্ট্রির জন্য অত্যন্ত সময়োপযোগী ও কার্যকর উদ্যোগ। শুরু থেকেই সিঙ্গার প্রথম আলোর এই উদ্যোগের সঙ্গে ছিল। এ বছর অনলাইন মেলার পাশাপাশি রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী অফলাইন মেলায় ক্রেতা-দর্শকেরা সশরীর অংশগ্রহণ করেছেন। আমাদের স্টলেও ক্রেতাদের ভালো সাড়া পেয়েছি। এই অভিনব আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাধুবাদ জানাই।
মেলা উপলক্ষে সিঙ্গার ক্রেতাদের জন্য কী ধরনের অফার রেখেছে?
এম এইচ এম ফাইরোজ: এবারের মেলা উপলক্ষে সিঙ্গার ফ্রিজ ও ফ্রিজারে স্ক্র্যাচ কার্ডে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দিচ্ছি। অদলবদল অফারে রয়েছে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়। এ ছাড়া মাত্র ১ হাজার ৬৭৭ টাকা মাসিক কিস্তির সুবিধায় রয়েছে রেফ্রিজারেটর কেনার সুযোগ। আছে ২৬০ ও ২৩০ লিটার রেফ্রিজারেটরে ৫ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যছাড়।
কোন ধরনের বিশেষত্ব ও ফিচারের কারণে সিঙ্গার রেফ্রিজারেটর সবার চেয়ে আলাদা?
এম এইচ এম ফাইরোজ: সাধারণত আমরা ফ্রেশনেস সিরিজের ডিরেক্ট কুল রেফ্রিজারেটর বাজারজাত করি, যা আধুনিক বাসাবাড়ির জন্য বেশ উপযোগী। এর উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ফ্রেশ-ও-লজি এবং নিউট্রিলক ফিচার। ‘১৩৫ ভোল্টে’ও দেয় পারফেক্ট কুলিং এবং কোনো ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের প্রয়োজন হয় না। আমাদের রেফ্রিজারেটরগুলোতে রয়েছে ১০ বছরের কমপ্রেসর ওয়ারেন্টি। আধুনিক সব ফিচার এবং খাবারের সতেজতা নিশ্চিত করায় সিঙ্গার দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
সিঙ্গার রেফ্রিজারেটরের পথচলা সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে চাই।
এম এইচ এম ফাইরোজ: ‘এমব্রেস ফ্রেশনেস নাও’ স্লোগানে ১৯৮৫ সালে রেফ্রিজারেটর বিপণন এবং ২০১৬ সালে উৎপাদন শুরু করে সিঙ্গার। শুরু থেকেই গ্রাহকের পছন্দের একটি রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড হিসেবে পথচলা শুরু করেছে সিঙ্গার, যার ধারাবাহিকতা এখনো বজায় রয়েছে। আমাদের রয়েছে দুটি কারখানা ও সারা দেশে ৪৬৩টি শোরুম। প্রতিষ্ঠানটির সফলতার পেছনে রয়েছে ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি জনবলের ভূমিকা এবং গ্রাহকের আন্তরিকতা।
দীর্ঘ এই পথচলায় সিঙ্গার রেফ্রিজারেটরের স্বীকৃতি-অর্জন সম্পর্কে জানতে চাই।
এম এইচ এম ফাইরোজ: সিঙ্গার রেফ্রিজারেটরের ফ্রেশ-ও-লজি এবং নিউট্রিলক প্রযুক্তি ইউরোপের ‘ইন্টারটেক’ দ্বারা স্বীকৃত। এ ছাড়া বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী হওয়ায় ‘বিএসটিআই’-এর ‘ফাইভ স্টার এনার্জি’ রেটিংপ্রাপ্ত। আর অর্জন হিসেবে রয়েছে দেশের ব্র্যান্ড ফোরামকর্তৃক ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’-এ রেফ্রিজারেটর ক্যাটাগরিতে অন্যতম পছন্দের ব্র্যান্ড হওয়ার খেতাব।
আপনাকে ধন্যবাদ।
এম এইচ এম ফাইরোজ: আপনাদেরও ধন্যবাদ।