মিয়ানমারে আরও ১৫ টন ত্রাণসহায়তা পাঠাল ঢাকা

এর আগে রোববার সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে আরও সাড়ে ১৬ টন ত্রাণসহায়তা মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে।

মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম মনোয়ার হোসেন দেশটির কর্মকর্তাদের কাছে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করেন। গতকাল নেপিডো বিমানবন্দরেআইএসপিআর

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে আরও ১৫ টন ত্রাণসহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ও বিমানবাহিনীর দুটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে উদ্ধার সরঞ্জামসহ একটি উদ্ধারকারী দল, জরুরি ওষুধ সামগ্রীসহ একটি চিকিৎসক দল ও ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।

গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে গত রোববার সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে আরও সাড়ে ১৬ টন ত্রাণসহায়তা মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে এসব সহায়তা পাঠানো হয়।

আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ সহায়তাকারী

দল সেনাবাহিনীর কর্নেল মো. শামীম ইফতেখারের নেতৃত্বে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়উদ্ধার অভিযান ও জরুরি চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করবে। ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট উদ্ধারকারী দলের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২১ জন, নৌবাহিনীর ২ জন, বিমানবাহিনীর ১ জন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০ জন সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া ২১ সদস্যবিশিষ্ট

চিকিৎসা সহায়তা দলের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ জন, নৌবাহিনীর ১ জন, বিমানবাহিনীর ২ জন এবং বেসামরিক ৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন।

উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানকারী দলের পাশাপাশি গতকাল পাঠানো ১৫ টন ত্রাণসহায়তার মধ্যে রয়েছে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, তাঁবু, হাইজিন প্রোডাক্ট, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী।

প্রসঙ্গত, গত রোববার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর দুটি পরিবহন বিমান সাড়ে

১৬ টন জরুরি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে যায়। ওই ত্রাণসহায়তার মধ্যে ছিল

শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, খাওয়ার স্যালাইন, তাঁবু, হাইজিন প্রোডাক্টসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী।