শিগগির তিস্তা চুক্তি সই হবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিবৃতি দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ছবি: এএনআই

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইসহ দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত সব সমস্যার শিগগিরই সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। খবর বাসসের।

আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি আবার বলছি যে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশী ভারত। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।’

আরও পড়ুন

গত এক দশকে উভয় দেশ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করেছে। তাঁরা তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইসহ সব অমীমাংসিত ইস্যু দ্রুত সমাধানের আশা করছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে বৈঠক করেছি। সামনের দিনগুলোয় আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আমরা বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’

আরও পড়ুন

আজ দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

দিনের কর্মসূচির শুরুতে আজ সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলে তাঁকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী করমর্দন করেন। পরে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতি ভবনের আনুষ্ঠানিকতার পর শেখ হাসিনা রাজঘাট গান্ধী সমাধিস্থলে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা শীর্ষ বৈঠক বসেন।

আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনখড় এবং পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

গতকাল সোমবার চার দিনের সফরে দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন