বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ১০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়ার উদ্যোগ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ১০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সন্তান ও অভিভাবক ফোরাম (এসওএফ), বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) ও কোয়ালিটি লাইফ ফাউন্ডেশন (কিউএলএফ)। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয় এই তিন সংগঠন।
সন্তান ও অভিভাবক ফোরামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শাকিল আরিফ চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আহত ১০০ জনের শিক্ষাজীবন সফলভাবে শেষ করার জন্য প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে। দাতা অভিভাবকেরা এসওএফ ও কিউএলএফের তদারকিতে শিক্ষার্থীদের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এ অর্থ দেবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৩০ জন আহত শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবার, দাতা অভিভাবক, এসওএফ, বিপিএ, কিউএলএফের মনোনীত প্রতিনিধি যৌথ চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেন। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এ বৃত্তি দেওয়া হবে।
আয়োজকেরা বলেন, এ বৃত্তির ফলে আহত শিক্ষার্থীরা অন্য কারও ওপর নির্ভর না করেই তাঁদের শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও গণ–অভ্যুত্থানে আহত অনেকেই পা হারিয়ে কিংবা হাত হারিয়ে কিংবা পঙ্গুত্বের শিকার হয়ে সীমিত জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁদের শিক্ষাজীবনও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি মোহন রায়হান, শহীদ আহনাফের মা জারতাজ পারভিন, নাফিজের বাবা গোলাম রহমান, ফাইয়াজের বাবা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইমামের ভাই রবিউল ইসলাম, শহীদ আলভীর বাবা আবুল হাসান, এসওএফের সমন্বয়ক শামিম তালুকদার, সীমা দত্ত, নাসিম আহমেদ, ইশরাত জাহান, দলিলুর রহমান, বিপিএ মহাসচিব ফরিদ উদ্দিন, তাহমিনা আক্তার, আহত শিক্ষার্থী আলী আহসান, রনি মিয়া, রুপ চাঁদ, মেহেদি হাসান প্রমুখ।