চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের

আইনজীবী সাইফুল ইসলামছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের সময় আজ মঙ্গলবার এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। আজ রাতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম এক বিবৃতিতে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন। এই হত্যার ঘটনা সারা দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর এক গভীর চক্রান্ত।

বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের নেতারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ভারতের মদদপুষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার উচ্ছেদ হওয়ার পরে সাম্রাজ্যবাদী ভারত অব্যাহতভাবে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা নিয়ে মিথ্যা ও ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি সক্রিয় করে চলেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা উচ্ছেদ হয়ে বাংলাদেশের ওপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ উচ্ছেদ হওয়ায় সাম্রাজ্যবাদী ভারত অস্থির হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ এবং বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একশ্রেণির মতলববাজ নেতাদের মাধ্যমে তৎপরতা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের সাধারণ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি বড় অংশ তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির এক উসকানি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সকল গণতান্ত্রিক সংগঠন ও শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্রাজ্যবাদী ভারতের চক্রান্ত চূর্ণ করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী ভারতের সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির ফাঁদে পা না দিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে জনগণের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।