নারীর প্রতি সহিংসতা ভয়াবহতায় রূপ নিয়েছে: মহিলা পরিষদ
বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের ভয়াবহতা অতীতের সব মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহিলা পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ–সভাপতি মাখদুমা নার্গিস রত্না বলেন, ‘আমরা অতীতেও নারীর প্রতি সহিংসতা দেখেছি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নারীরা যে মাত্রায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তা অবর্ণনীয়।’ নারী নির্যাতনের এমন রূপ বাংলাদেশে আগে কখনো ছিল না বলে মনে করেন তিনি।
নারী নির্যাতনের সঠিক চিত্র গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয় না অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, মাগুরার শিশুটির ঘটনা আমাদের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিদিন এ রকম বহু নারী ও শিশু যৌন নির্যাতন ও প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে, গণমাধ্যমে সেই খবর সঠিকভাবে প্রচার হচ্ছে না।
মানববন্ধনে বিচার বিভাগের দীর্ঘসূত্রতা দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় মহিলা পরিষদ পরিচালক জনা গোস্বামী।
‘ধর্ষণ’ বিষয়ে সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করেন মহিলা পরিষদের নেতারা। তারা বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার সাথে জড়িতদের দায়িত্বশীলতার সাথে কথা বলতে হবে। ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা একটি মারাত্নক ব্যাধি, তাই এটাকে রাজনৈতিকভাবে না জড়ানোর আহ্বান জানান তারা।
মহিলা পরিষদের নেতা ফেরদৌস জামানের (রত্না) সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন হেনা চৌধুরী। এ সময় মহিলা পরিষদের পরিচালক দীপ্তি শিকদার, রেহানা ইউনুস, কানিজ ফাতেমাসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
এদিকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ধর্ষণের ঘটনার যথাযথ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের মাধ্যমে অভিযুক্তের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগে জবাবদিহি নিশ্চিত করা, নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও আইনগত বৈষম্য নিরসন করে ধর্ষণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।