আজীবন ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন সত্যেন সেন

সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কৃষকনেতা, উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেনের ১১৮তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীরা। শুক্রবার সত্যেন সেন চত্বরেছবি: সংগৃহীত

‘জানি পথ দুর্গম, তবু চলো দুর্দম’ স্লোগানে উদ্‌যাপিত হলো সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কৃষকনেতা, উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেনের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে সত্যেন সেন চত্বরে স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সত্যেন সেনের প্রতিকৃতির সামনে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা জানান উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের নেতারা। বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি শিবানী ভট্টাচার্য, প্রবীর সরদার ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।

অমিত রঞ্জন দে বলেন, একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে দেশ। স্বৈরাচারের পতন হলেও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। বৈষম্যমুক্ত, সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ যত দুর্গম হোক না কেন, দুর্দম গতিতে সেই পথে চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

এ পর্বে বক্তারা সত্যেন সেনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর দেখানো পথে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, মৌলবাদমুক্ত, শোষণহীন, সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আজীবন লড়াই-সংগ্রাম চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় অন্য বক্তারা বলেন, ১৯০৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করা সত্যেন সেন আজীবন সত্য, সুন্দর, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ছিল তাঁর সরব উপস্থিতি।

এ ছাড়া কৃষক আন্দোলনেরও অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন সত্যেন সেন। একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, মৌলবাদমুক্ত, সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্তসহ বেশ কয়েকজন প্রগতিশীল মুক্তচিন্তার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখ আনিসুর রহমান। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ এবং ঢাকা মহানগর সংসদের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন শাখা সংসদের শিল্পী-কর্মীরা।