আমরা এই উৎসব ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই: বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত সাত দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২’ ঘুরে দেখছেন অতিথিরাছবি: শিল্প মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, পাহাড় থেকে সমতল, সারা দেশে আজ নববর্ষের আমেজ। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা চলছে সারা দেশে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে ফ্যাসিবাদ–উত্তর বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছি। আমরা এই উৎসব ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।’

আজ সোমবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজিত সাত দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২’–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা এ কথা বলেন। পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

শিল্প উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, খাদ্যজাত পণ্যের বিদেশে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। উদ্যোক্তারা এ মেলার মাধ্যমে এসব পণ্যের বিদেশে রপ্তানি যোগ্য করে তুলবেন। উদ্যোক্তারা যেভাবে ৫ আগস্ট–উত্তর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আরেকটি শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্ট–পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। আজকের শোভাযাত্রায় সব জাতিগোষ্ঠী একসঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন এবং একসঙ্গে আনন্দ করছেন। একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও রঙিন উৎসব।’

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘আমরা বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন করব জাতীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে। আমাদের উজ্জ্বল অতীত ছিল, সমৃদ্ধ আগামী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন করতে হবে।’

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পসচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব মো. মফিদুর রহমান, বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেলায় ৯৮টি স্টল রয়েছে। সাত দিনব্যাপী এ মেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, নানা জাতের কুটির শিল্প, কারুশিল্প, খেলনাসহ হরেক রকমের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া মেলায় যাত্রা, পুতুলনাচ, নাগরদোলা, সার্কাসসহ বিনোদনমূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।