স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার সূত্র ধরে শিশু হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন মাসহ দুজন গ্রেপ্তার
ছয় মাসের কন্যাশিশু আমেনাকে হত্যার অভিযোগে মা ফাতেমা বেগমসহ দুজনকে গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফাতেমা ঢাকার একটি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া ফাতেমার পূর্বপরিচিত জাফর (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক মাস আগে গত ৬ ডিসেম্বর পল্লবীর দিয়াবাড়ি এলাকায় ব্যাগের ভেতর ছয় মাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটির ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত শিশুটির পরিচয় না পাওয়ায় তখন পুলিশের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করা হয়।
ওসি নজরুল ইসলাম আরও বলেন, সম্প্রতি তাঁরা জানতে পারেন, এক দম্পতি ঝগড়া করছেন। তাঁদের বাচ্চা নিখোঁজ। পুলিশ গিয়ে তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। পরে থানায় এনে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ফাতেমা স্বীকার করেন, তাঁর পূর্বপরিচিত জাফর কন্যাশিশু আমেনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
পল্লবী থানার ওসি দাবি করেছেন, ফাতেমা রাজধানীর পল্লবীতে থাকেন। তাঁর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। স্বামী তুরাগে মেকানিকের কাজ করতেন। মাঝেমধ্যে পল্লবীতে আসতেন। এর মধ্যে পোশাক কারখানায় চাকরি করা জাফরের সঙ্গে ফাতেমার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি ফাতেমার বাসায় আসা–যাওয়া করতেন। ৫ ডিসেম্বর সর্বশেষ ফাতেমার বাসায় যান জাফর। সেদিন তিনি শিশু ফাতেমাকে হত্যা করেন। পরে শপিং ব্যাগে করে আমেনার মরদেহ দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের একটি পিলারের কাছে ফেলে আসেন।