সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি : হট্টগোলের মধ্য দিয়ে দুদিনের ভোটগ্রহণ শেষ, ভোট পড়েছে অর্ধেক
নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত উপকমিটি গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিপরীতমুখী অবস্থান নেন। এর জেরে ভোটগ্রহণের প্রথম দিনে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া , প্যান্ডেল ভাঙচুর, পুলিশের পিটুনি এবং উত্তেজনার মধ্য দিয়ে বুধবার প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। আজ শেষদিনেও একই উত্তেজনা ছিল
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে উত্তেজনা, হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কি ও পাল্টাপাল্টি স্লোগানের মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল বুধবার এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
আজ ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন। গতকাল হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির কারণে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টার পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। আজ দুপুর ১২টার দিকেও দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে দুইদিন ৪ হাজার ১৩৭ ভোট পড়েছে। সন্ধ্যার পর ভোট গণনা শুরু হতে পারে।
নির্বাচন পরিচালনাকে ঘিরে পুলিশের হামলাসহ গেল দিনের ঘটনার বর্ণনা সর্বোচ্চ আদালতে তুলে ধরার মধ্য দিয়েই বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আজ বৃহস্পতিবার তৎপরতা শুরু করেন। এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল-শ্লোগান, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে প্রথমে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ও পরে অ্যাটর্নি জেনারেলের সাক্ষাত, ভোটের প্যান্ডেলের সামনে দু’পক্ষের ধাক্কাধাক্কি, পৃথক মামলায় বিএনপিপন্থী ২১ আইনজীবীর আগাম জামিন এবং বিকেলে দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কির মধ্য দিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই সমিতির দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। দিনভরই ছিল উত্তেজনার। সমিতি ভবন ও প্রাঙ্গনসহ ভোটারদের প্রবেশের জন্য গড়া ভোটের প্যান্ডেলের সামনে ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ।
বিগত বছরগুলোতে নির্বাচনের সময়ে ভোটের প্যান্ডলের সামনে দুপক্ষের প্রার্থীরা উপস্থিত থাকতেন। প্রার্থীরা ব্যালট নম্বর উল্লেখিত তাদের পরিচিতির কার্ড ভোটারদের হাতে তুলে দিতেন। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের আইনজীবীদের পক্ষে ভোটারদের হাতে কার্ড তুলে দিতে দেখা গেলেও বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে এ-সংক্রান্ত কার্ড তুলে দিতে দেখা যায়নি।
বেশ কয়েকজন আইনজীবীর ভাষ্যমতে, সমিতির এবাবের ভোটকে ঘিরে উৎসবের আমেজ ছিল না, ছিল এক ধরনের উত্তেজনা।
আদালত প্রাঙ্গণে নজীরবিহীন ঘটনা গতকাল ঘটেছে, যা চলমান। আজও রুমে তালা লাগানো আছে, অনেকের রুমের চারপাশে পুলিশ দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে এ ঘটনার পেছনে কেউ আছে কিনা তা দেখতে হবে। এই অঙ্গনে এটা কি অনুমোদিত? তারা সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্যদেরও নির্যাতন করেছে। আমরা সুরক্ষা চাচ্ছি।এ জে মোহাম্মদ আলী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী
আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত উপকমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান মনির প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ১০টার পর থেকে শুরু করে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট চলে। এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে দুইদিন ৪ হাজার ১৩৭ ভোট পড়েছে। সন্ধ্যার পর ভোট গণনা শুরু হতে পারে।
মূলত নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত উপকমিটি গঠনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। গত সোমবার এই উপকমিটির আহ্বায়ক মনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগ করলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এর আগে দুই পক্ষ মিলেই মনসুরুল হক চৌধুরী আহ্বায়ক করার বিষয়ে একমত হয়েছিল।
নির্বাচনে দ্বিতীয় দিনের ভোট আজ সকাল ১০টার পর শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটকেন্দ্রে দুই দলের আইনজীবীরা এসে জড়ো হন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা জোরে জোরে স্লোগান দিতে থাকেন। একদল ‘ভোট চোর, ভোট চোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। অন্য পক্ষ আবার এর উত্তর দিতে থাকে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় তুমুল উত্তেজনা শুরু হয়। পুলিশও মাঝে দাঁড়িয়ে সতর্ক অবস্থায় থাকে। তবে এ সময় ভোট গ্রহণ চলছিল।
সকাল ১০টার পর থেকে শুরু করে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট চলে। এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে দুইদিন ৪ হাজার ১৩৭ ভোট পড়েছে।
আজ সকালে দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণের আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটকেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগের সমর্থক আইনজীবীদের দেখা গেলেও বিএনপিপন্থীদের তেমন দেখা যায়নি।
আইনজীবীদের অন্যতম সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (২০২৩-২৪) এবারের নির্বাচন পরিচালনাকে ঘিরে পুলিশের হামলাসহ গেল দিন ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ননা আপিল বিভাগে তুলে ধরেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
আপিল বিভাগে বিএনপিপন্থীরা
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা দুজন ১১ টার সময় খাস কামরায় আসেন। প্রয়োজন হলে অ্যাটর্নি জেনারেলকে ডেকে নেবো।’
সকাল নয়টার আগে থেকেই আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির এজলাসে (১ নম্বার বিচারকক্ষে) আসতে শুরু করেন বিএনপিপন্থী তিন আইনজীবী। সকাল ৯ টা ২৭ মিনিটে এজলাসে আসেন প্রধান বিচারপতি ও অপর সাত বিচারপতি।
এরপর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে নজীরবিহীন ঘটনা গতকাল ঘটেছে, যা চলমান। আজও রুমে তালা লাগানো আছে, অনেকের রুমের চারপাশে পুলিশ দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে এ ঘটনার পেছনে কেউ আছে কিনা তা দেখতে হবে। এই অঙ্গনে এটা কি অনুমোদিত? তারা সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্যদেরও নির্যাতন করেছে। আমরা সুরক্ষা চাচ্ছি। ’
সভাপতি পদে ১টি, সহসভাপতি ২টি, সম্পাদক ১টি, কোষাধ্যক্ষ ১টি, সহসম্পাদক ২টি, সদস্য ৭টি পদসহ মোট ১৪টি পদে এক বছর মেয়াদের জন্য সমিতির নির্বাচন হয়ে থাকে। বর্তমানে সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ সাতটি পদে আছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবীরা। অপর সাতটি পদে আছেন বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীরা।
সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘আপনারা দেশের বিচার বিভাগের অভিভাবক। তাই প্রত্যেকের ব্যাথা, কষ্ট অভিভাবক হিসেবে অবহিত করা উচিত। সমিতির নির্বাচন হয় সব সময় উৎসবমুখর। তবে এবার কি হলো? আজও আমি রুমে ঢুকতে পারিনি। রুমের বাইরে থেকে তালা লাগানো। কক্ষের সামনে পুলিশ রয়েছে। হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অনেক আইনজীবীরা আহত হয়েছে। পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। গতকালের ঘটনা দেখেছেন, পুলিশ কীভাবে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দিয়েছে। আমরা কী অপরাধ করেছি? আমি প্রার্থী আমি কেন ভোট কেন্দ্রে থাকতে পারবো না? ’
প্রথম আলোসহ কয়েকটি পত্রিকা আদালতে উপস্থাপন করে রুহুল কুদ্দস বলেন, ‘আপনারা এ অঙ্গণের অভিভাবক। আপনারা দেখেন। বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরীকে প্রধান করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয়। ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় প্রার্থী পরিচিতি সভায় তিনি দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু হঠাৎ কি হলো? তিনি পদত্যাগ করলেন। ’
নির্বাচনে প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ঘায়েল করতে মামলা করা হয় উল্লেখ করে রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘এরপর রাতে মো. মনিরুজ্জামান (নির্বাচন উপ কমিটির আহ্বায়ক) সাহেব বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আমাকে ও সভাপতি প্রার্থীসহ অনেককে আসামি করা হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় আরেকটি মামলা করেছে সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দিয়ে। সেখানে সমিতির বর্তমান কমিটির ৬ জন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। ’
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘মি. রুহুল কুদ্দুস আপনাদের সবাইকে সম্মান করি। আপনারা ২ জন ১১টার সময় (বিরতি) আসেন। কোনো করণীয় থাকলে করবো। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেবো। ’
সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘নজিরবিহীন ঘটনা। ভোটকেন্দ্রে তিন চারশ পুলিশ ঢুকে ধাক্কা দিতে থাকে। সবাই পড়ে যাচ্ছিল আর পুলিশ পা দিয়ে পাড়িয়েছে। আমার পায়ে ব্যাথা আমি ঠিকমতো দাড়াতে পারছি না। অনেক আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের আহত করা হয়েছে। ’
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘এ কথাগুলো ভেতরে বসে শুনি। ১১ টায় আসেন, আমরা আপনাদের কথা শুনবো। এখন কোর্টের কাজ করি। ’
প্রধান বিচারপতির কিছু করার নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি একটি বেসরকারি সংগঠন। এখানে প্রধান বিচারপতির কিছু করার নেই। প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার পর আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া একটার দিকে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি ডেকেছিলেন, উনার কক্ষে গিয়েছিলাম। তখন আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বসে ছিলেন। উনারা আমাকে জানান, বিএনপি থেকে সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী কথা বলতে গিয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটি সমিতির বিষয়, আমাদের করণীয় নেই। প্রধান বিচারপতির এখানে কিছু করার নেই। এটি আপনারা যাঁরা এ বিষয়ে বিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে সবাই মিলে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেন। যেহেতু এটি প্রাইভেট সংগঠন, সমিতির বিষয়। প্রধান বিচারপতির কিছু করার নেই।’
আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এবার যেহেতু আগের দিন রাতের বেলায় মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অন্যরা ব্যালট পেপার নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার কারণে সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদক পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এসেছিল, তা বলেছি।’
প্রথম দিনের পরিস্থিতি, মামলা: ভোট পড়ে ২ হাজার ২১৭
গতকাল বুধবার নির্বাচনে দিনের শুরুতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত কোন উপকমিটির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে, এমন প্রশ্নে তর্কে জড়ান তাঁরা। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশ গিয়ে আইনজীবী, সাংবাদিকদের পিটিয়ে মিলনায়তন থেকে বের করে দেয়। পুলিশের হামলায় আইনজীবী, সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন।
এদিকে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ব্যালট পেপার চুরি ও ছিঁড়ে ফেলা এবং নির্বাচনসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে গতকাল সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান। মামলায় বিএনপিপন্থী আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুসসহ ১২ জন আইনজীবীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত উপকমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান মনির প্রথম আলোকে বলেন, প্রার্থীসহ বিএনপিপন্থীদের আপত্তির কারণে সকাল ১০টায় ভোট গ্রহণ শুরু করা যায়নি। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর দুপুর ১২টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। সমিতি প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থীরাই ভোটের প্যান্ডেল ভেঙেছে। এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে প্রথম দিন ২ হাজার ২১৭টি ভোট পড়েছে।
সভাপতি পদে ১টি, সহসভাপতি ২টি, সম্পাদক ১টি, কোষাধ্যক্ষ ১টি, সহসম্পাদক ২টি, সদস্য ৭টি পদসহ মোট ১৪টি পদে এক বছর মেয়াদের জন্য সমিতির নির্বাচন হয়ে থাকে। বর্তমানে সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ সাতটি পদে আছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবীরা। অপর সাতটি পদে আছেন বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীরা।
নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল হলো বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ-সমর্থিত প্যানেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল।