আনিসুল, সালমান ও জিয়াউল আবার রিমান্ডে

আদালতে থেকে নেওয়ার সময় আনিসুল হক (সামনে) ও পেছনে সালমান এফ রহমানছবি: দীপু মালাকার

রাজধানীর দুই কলেজছাত্র নিহতের ঘটনায় করা পৃথক মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে আবার ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শনিবার এ আদেশ দেন।

নিহত দুই শিক্ষার্থী হলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সবুজ আলী ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। পরে সবুজের মৃত্যুর ঘটনায় নিউমার্কেট ও খালিদের মৃত্যুর ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা হয়।

আদালতে নেওয়ার সময় জিয়াউল আহসান
ছবি: দীপু মালাকার

এর আগে নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা হকার শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান ও জিয়াউল আহসানকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ড শেষে আজ তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাঁদের লালবাগ ও নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ওই দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রত্যেককে ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ ও সবুজ আলী হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। তবে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে তাঁদের জামিন চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত দুই মামলায় প্রত্যেকের ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে গত ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। তাঁদের একজন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সবুজ আলী (২৬) এবং অন্যজন হকার মো. শাহজাহান (২৬)। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। আর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ ১৮ জুলাই নিহত হন। এ ঘটনায় লালবাগ থানায় হত্যা মামলা হয়।

১৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। আর সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ১৬ আগস্ট গ্রেপ্তার হন। এর মধ্যে শাহজাহান হত্যার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।