চট্টগ্রামের জোড়া খুনের ঘটনায় দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালতছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিরা হলেন মো. মানিক ও মো. বেলাল।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বাকলিয়া থানায় জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে একই মামলায় সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। তাঁকে এই মামলার হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ মার্চ রাতে। ওই দিন রুপালি রঙের একটি প্রাইভেট কার কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে বাকলিয়া অ্যাকসেস রোডে আসতে থাকে। গাড়িটি শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর পেছন থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল সেটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। প্রাইভেট কারের ভেতর থেকেও মোটরসাইকেল আরোহীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে অনেকটা ঝাঁঝরা হয়ে যায় গাড়িটি। নিহত ব্যক্তিরা হলেন বখতিয়ার হোসেন (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩২)। তাঁরা সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গাড়িতে সরোয়ারও ছিলেন, তবে তিনি বেঁচে যান।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের করা মামলায় বলা হয়েছে, দুই সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ার হোসেনের বিরোধের জের ধরে আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী করে ক্ষুব্ধ হয়ে সরোয়ার ও তাঁর অনুসারীদের ওপর এই হামলা চালানো হয়।

সন্ত্রাসী সাজ্জাদ, তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিনকে হুকুমের আসামিসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার বাকলিয়া থানায় মামলা করেন নিহত বখতিয়ারের মা ফিরোজা বেগম। মামলার বাকি পাঁচ আসামি হলেন মো. হাছান, মোবারক হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. রায়হান ও মো. বোরহান। তাঁরা সবাই সাজ্জাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। পরে পুলিশ গত বুধবার রাতে মো. বেলাল ও মো. মানিক নামের দুজনকে সিসিটিভি ক্যামেরায় শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন