১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু
চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ শুনানি গ্রহণ করেন। আগামীকাল শুনানির জন্য পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। সেদিন পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার পেপারবুক উপস্থাপন শেষ হয়। আজ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। দণ্ডিত পাঁচজন আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। লুত্ফুজ্জামান বাবরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়েছে, শেষ হয়নি। যুক্তি উপস্থাপনের এই পর্যায়ে দণ্ডিত পাঁচ আসামির ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের রায়ের সমর্থনে সাক্ষীদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।