জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমএসএফের সভাপতি সুলতানা কামাল বলেছেন, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা ধর্ষণের মতো এহেন ন্যক্কারজনক কাজ, মাদকের সংশ্লিষ্টতা এবং এর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের সম্পৃক্ততা দেশ ও জাতির জন্য চরম অবমাননাকর।’
ভুক্তভোগী নারী পরিবার নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। পুলিশের ভাষ্যমতে, গতকাল শনিবার রাতে কৌশলে ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে ক্যাম্পাসে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর স্বামীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর সহযোগী মো. মামুনুর রশিদ। মামুনুর রশিদ ভুক্তভোগী পরিবারের পূর্বপরিচিত ছিলেন। তাঁর কথায় এই দম্পতি ক্যাম্পাসে এসেছিলেন।
এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ঘটনায় মোস্তাফিজুরকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাময়িক বহিষ্কার এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে মামুনুর রশিদসহ ঘটনায় জড়িত দুজন এখনো পলাতক।
মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের সদস্যদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।