বিক্ষোভের মুখে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো হয়নি সাবেক সংসদ সদস্য লতিফকে

বিক্ষোভের মুখে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো হয়নি সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে। আজ বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণেছবি: সংগৃহীত

বিক্ষোভের মুখে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর ও পতেঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো যায়নি। তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে তাঁকে আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন শত শত আইনজীবীসহ সাধারণ মানুষ। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে প্রিজন ভ্যান থেকে না নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কারাগারে।

জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) এ এ এম হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ডবলমুরিং থানা-পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে আদালতে নিয়ে আসে। তখনই বিক্ষোভ শুরু হয়। নিরাপত্তার কারণে লতিফকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো হয়নি। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, এম এ লতিফের চিকিৎসা ও কারাগারে ডিভিশনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়া কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে জেল সুপারকে নির্দেশ দেন।

গত শনিবার সকালে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মাজার গেট এলাকা থেকে এম এ লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। ডবলমুরিং থানার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একজনকে মারধর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাঁকে আদালতে আনা হয়।

সাধারণত আসামিদের রিমান্ড শেষে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। প্রয়োজনে আদালতেও তোলা হয়। এরপর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে লতিফকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো হয়নি।

ডবলমুরিং থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকায় এরশাদ নামের একজন গুলিতে আহত হন। এ ঘটনায় আহত এরশাদ বাদী হয়ে থানায় এম এ লতিফসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত নগর ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া দস্তগীরসহ অন্য আসামিরা বাদী ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনকে রড, হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এ ছাড়া তাঁরা ককটেল বিস্ফোরণ করেন। আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।