ডা. শুভাগত চৌধুরীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন

আজ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে বেলা ১১টার দিকে শুভাগত চৌধুরীর মরদেহ ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে আনা হয়। সেখানে নানা স্তরের মানুষ ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়ছবি: শুভাগত চৌধুরীর পারিবারিক সূত্রে পাওয়া

বিশিষ্ট চিকিৎসক ও লেখক শুভাগত চৌধুরীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর পোস্তগোলা মহাশ্মশানে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন শুভাগত চৌধুরীর ভাই ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী।

আজ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে বেলা ১১টার দিকে শুভাগত চৌধুরীর মরদেহ ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে আনা হয়। সেখানে নানা স্তরের মানুষ ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

অরূপ রতন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আজ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অধ‍্যাপক শুভাগত চৌধুরীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে তাঁর ছাত্রছাত্রীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ও অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী উপস্থিত ছিলেন।

মাল্টিপল মায়োলেমা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নিজ বাড়িতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন শুভাগত চৌধুরী। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী কামনা চৌধুরী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। তাঁর তিন সন্তানই বিদেশে থাকায় তাঁরা আসার পর আজ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হলো।

ডা. শুভাগত চৌধুরীর জন্ম সিলেটে, ১৯৪৭ সালে। তিনি দেশে-বিদেশে পড়ালেখা করেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অ্যাসোসিয়েশন অব নিউট্রিশনিস্ট অ্যান্ড ডায়াটেশিয়ানস ফর সোশ্যাল সার্ভিসেসের (এএনডিএসএস) উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।

ডা. শুভাগত চৌধুরী চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণা করেছেন লন্ডনের সেন্ট টমাস হাসপাতালে। গবেষণা, প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য ইংল্যান্ড, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, পশ্চিম আফ্রিকাসহ নানা দেশে ঘুরেছেন তিনি। প্রাণরসায়ন, পুষ্টি ও চিকিৎসা-শিক্ষাপদ্ধতি ছিল তাঁর গবেষণার বিষয়। নিউইয়র্ক সায়েন্স একাডেমির নির্বাচিত সদস্য তিনি। চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ে দেশি-বিদেশি জার্নালে তাঁর ৫০টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদানের জন্য শেরেবাংলা জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার।