ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিক্রি কেমন?
এস এম মাহবুবুল আলম: ফ্রিজ এখন দেশের সব শ্রেণি–পেশা ও আয়ের মানুষের পরিবারে দৈনন্দিন ব্যবহার্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলগুলোও এখন বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। পাশাপাশি প্রবাসী আয় বৃদ্ধি, কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতির সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। তাই এখন আর শুধু রাজধানীতেই নয়, মফস্সল ও গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ফ্রিজসহ অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্সের ব্যবহার বেড়েছে।
বিক্রয়োত্তর সেবা আসলে বড় ব্যাপার। আপনার প্রতিষ্ঠান কীভাবে বিষয়টি দেখে?
এস এম মাহবুবুল আলম: হ্যাঁ, বিক্রয়োত্তর সেবার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সচেতন ক্রেতারা এখন পণ্য নয়; বরং সেবাও কেনেন। ওয়ালটন ক্রেতাদের সর্বোচ্চ বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যার পরিপ্রেক্ষিতে আইএসও সার্টিফায়েড সর্ববৃহৎ কাস্টমার সার্ভিস নেটওয়ার্কের আওতায় ৯০টির অধিক সার্ভিস পয়েন্টের মাধ্যমে ওয়ালটন পণ্যের গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োগ কতটা ঘটান?
এস এম মাহবুবুল আলম: প্রযুক্তির উৎকর্ষই ওয়ালটনকে দেশের টেক জায়ান্ট এবং সুপারব্র্যান্ডে পরিণত করেছে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পণ্য গবেষণা, উদ্ভাবন ও অটোমেশনের প্রতি অধিক জোর দিয়েছে ওয়ালটন। সে জন্য ওয়ালটনের রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। যেখানে কাজ করছেন বাংলাদেশ, কোরিয়া, ইতালি, চীন, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশের অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের এক চৌকস দল। বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথম স্মার্ট ফ্রিজে নিজস্ব উদ্ভাবিত এআই ডক্টর সুবিধা সংযোজন করেছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
এস এম মাহবুবুল আলম: ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি, কর্মীর সংখ্যা এবং পণ্য উৎপাদন পরিমাণের ভিত্তিতে ওয়ালটন দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে ওয়ালটন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নতুন নতুন যে অটোমেশন প্রযুক্তি আছে, সেগুলোতে বেশি করে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটনের পদচারণ বাড়াতে ব্যাপকভাবে কাজ চলছে। পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্য উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনেও প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে উৎপাদনপ্রক্রিয়া এবং পণ্যে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সংযোজন ঘটানো হচ্ছে। উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, যাতে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ক্রেতাসন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হয়।