সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে মামলা
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও তাঁর স্ত্রী হনুফা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রায় ১১ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মুজিবুল হক ও তাঁর স্ত্রী ১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে মুজিবুল হক এবং তাঁর স্ত্রী টাকা অর্জন করেছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, পাবলিক সার্ভেন্ট (জনগণের সেবক) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে মুজিবুল হক ৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। আর মুজিবুলের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাঁর স্ত্রী হনুফা আক্তার ৩ কোটি ২৮ লাখ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি মুজিবুল হকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
এদিকে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগ তদন্তে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক-বর্তমান ১২ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুদক। এর মধ্যে সাইফুল আলমের ছেলে ও ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমও রয়েছেন।
আজ সোমবার দুদকের উপপরিচালক মো. আবু সাঈদের সই করা এক চিঠিতে তাঁদের তলবের বিষয়টি জানা গেছে।
তলব করা অন্যরা হলেন ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক আবু সাঈদ মোহাম্মদ কাসেম, জামাল মোস্তফা চৌধুরী ও মো. সারওয়ার হোসেন। এ ছাড়া ব্যাংকটির কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা সিরাজী, দিলরুবা হায়াত, মো. আবু হানিফ, শরিফুল ইসলাম, মো. শামসুদ্দোহা, মীর রহমত উল্লাহ, আবু সাঈদ মো. ইদ্রিস ও কাজী মো. রেজাউল করিম।
২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে অনুসন্ধানকাজে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে দুদকের পরিচালককেও (মানি লন্ডারিং)।