পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির প্রসঙ্গ উঠল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে
গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির প্রসঙ্গ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠেছে।
গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করায় সম্প্রতি গণমাধ্যমকে হুমকি দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক দুর্নীতির তুলনায় এই প্রতিবেদনগুলো যত্সামান্য। নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম এসব দুর্নীতির ঘটনা প্রায়ই উপেক্ষা করে। একটি শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ্যে বলেছেন, তাঁরা দুর্নীতির নানা ঘটনা জানা সত্ত্বেও প্রকাশ করতে পারেন না। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের প্রতি হুমকি ও দুর্নীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র কি পদক্ষেপ নেবে?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর রাখা এবং সরকারের স্বচ্ছতার জন্য তাঁরা মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। সাংবাদিকদের তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাধা দিতে হয়রানি ও ভয় দেখানোর যেকোনো প্রচেষ্টার ব্যাপারে তাঁরা আপত্তি জানান।
সম্প্রতি দেশের সাবেক ও বর্তমান পুলিশ সদস্যদের অস্বাভাবিক সম্পদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত-প্রচারিত হয়। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে দেশের সব গণমাধ্যমের সম্পাদক বরাবর চিঠি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। যা পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আকারে প্রকাশিত হয়। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠির শেষাংশে অনুরোধ জানানো হয় জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে। সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।