তিন পুলিশকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ১০

গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পুরিন্দা বাজার এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় তিন পুলিশকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রাজধানীর গুলশানের পাঁচ তারকা একটি হোটেল থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার খুদে বার্তায় র‍্যাব বলেছে, ভোর থেকে ওই হোটেলটিতে অভিযান শুরু হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত মঙ্গলবার আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে তিনজন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন।

আরও পড়ুন

আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন পরিদর্শক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপপরিদর্শক মো. মতিন ও কনস্টেবল মো. নুরুল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, অবরোধের সমর্থনে গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে কয়েক শ নেতা-কর্মী নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মিছিল করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাঁশের লাঠি হাতে গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন। থানা থেকে আরও পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা চলে যান।

নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কনস্টেবল নুরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। সহকারী উপপরিদর্শক মতিনের ডান হাত কুপিয়ে জখমের পর পিটিয়ে বাঁ হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পরিদর্শক হুমায়ুন কবিরকে লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

বিএনপি বলছে, পুলিশ বিনা কারণে হামলা করায় সংঘর্ষ বাধে। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের দাবি, তাঁর বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।