‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিতর্ক অপরাজনীতির প্রয়াস: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্পে’ হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক পাঠটি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেটিকে অপরাজনীতি করার একটি প্রয়াস বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু বিতর্কিত, অগ্রহণযোগ্য ও অবৈধ চর্চাকে (সমকামিতা) উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগটি একেবারেই অমূলক। এর সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের সেই কনটেন্টের কোনো সম্পর্ক নেই। ওই বয়সের ওই শিক্ষার্থীদের জন্য কনটেন্টটি যথাযথ কি না, তা দেখা হবে। এই বিতর্ককে যারা উসকানি দিচ্ছেন, এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে। এটি অপরাজনীতি করার একটি প্রয়াস।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ–ইনস্টিটিউটগুলোয় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিতে বিকেলে উপাচার্য ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আমাদের চারটি বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি স্বায়ত্তশাসিত। তাই এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপমূলক কোনো কাজ করার সুযোগ এখানে নেই।’
এর আগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন অবশ্য কিছু অপরাজনৈতিক দল কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। আমরা বলেছি, সবার মতামত নেব। সেখানে একটা ভারসাম্য অবশ্যই থাকবে। সেই লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যে কাজ করছি। আশা করছি, নানাভাবে সৃষ্ট এই বিতর্কটা রিজলভ হবে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কৃতী শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা পরবর্তী জীবনে তাঁদের মেধাকে প্রতিভায় পরিণত করতে পারবেন, এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা জিনিসটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হলেও জ্ঞানের প্রতিযোগিতা সব সময়ই শুভ এবং এর কোনো শেষ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্টতা হলো সামাজিকতা ও দেশপ্রেম। কিন্তু সেই সামাজিকতার অনুশীলন আমরা আগের মতো করতে পারছি না।’
উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, আতিউর রহমান; সহ–উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ, সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রমুখ বক্তব্য দেন।