জন্মাষ্টমীর ব্যয় কমিয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত পূজা উদ্যাপন পরিষদের
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র জন্মতিথি ও জন্মাষ্টমী উৎসবের ব্যয় কমিয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি। আজ শুক্রবার শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংগঠন দুটির নেতারা এ কথা জানিয়েছেন।
পরে সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, আকস্মিক বন্যায় বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীসহ দেশের অন্তত ১০টি জেলা প্লাবিত হয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন।
কেন্দ্রীয়ভাবে ত্রাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জন্মাষ্টমী উৎসবের ব্যয় কমিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলা, মহানগর ও উপজেলা কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত ত্রাণ তহবিলের আহ্বায়ক করা হয়েছে আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীকে। আর গোপাল দেবনাথ ও বিপ্লব দেকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর। সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা।
লিখিত বক্তব্যে সন্তোষ শর্মা বলেন, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ২৬ আগস্ট সকাল ৮টায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞ, বেলা ৩টায় পলাশীর মোড় থেকে জন্মাষ্টমীর কেন্দ্রীয় মিছিল ও রাতে তিথি অনুযায়ী কৃষ্ণপূজা হবে। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন ৩০ আগস্ট ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক তাপস চন্দ্র পাল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ প্রমুখ।