শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্‌যাপনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী

বিহারগুলোতে আইনশৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সমতলের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীছবি: আইএসপিআর

বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রামুসহ দেশের বৌদ্ধপল্লি, জনপদ ও বিহারগুলোতে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সমতলের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০ অক্টোবর সেনা সদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধিদল। সে সময় সেনাপ্রধান তিন পার্বত্য জেলায় শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবরদান উদ্‌যাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব ধরনের কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের অনুকূলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক কোটি টাকার চেক অনুদান দিয়েছেন।

আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বান্দরবানের কেন্দ্রীয় বৌদ্ধবিহার, রোয়াংছড়ি উপজেলা, জ্ঞানরত্ন বৌদ্ধবিহার ও বান্দরবান সদরের পাশাপাশি খাগড়াছড়ি জেলার শালবন বৌদ্ধবিহার ও দীঘিনালা এবং রাঙামাটি জেলার সধর্ম বৌদ্ধবিহার, রিজার্ভ বাজার, রাঙামাটি সদর ও লংগদু উপজেলায় উৎসাহ–উদ্দীপনার সঙ্গে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হয়। সেনাপ্রধানের দিকনির্দেশনায় এ উৎসব চলাকালে শান্তিশৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে। এ ছাড়া আসন্ন মাসব্যাপী কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ধর্মীয় উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।