কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল পেল ‘সেরিয়ার অ্যাওয়ার্ড’

কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ‘সেরিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি এই হাসপাতালের কিডনি রোগীদের উন্নত চিকিৎসা এবং শিক্ষা ও গবেষণা করার জন্য আন্তর্জাতিক মানের ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে সম্প্রতি এ স্বীকৃতি দিয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি আগামী ১৫ এপ্রিল আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাওয়ার্ড ও এই স্বীকৃতির সনদ দেবে।

কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ২০০২ সালে যাত্রা শুরু করে। ধানমন্ডির ৯/এ ভাড়া করা খুব ছোট পরিসরে ৯ বেডের ডায়ালাইসিস ইউনিট, ১টি ছোট ল্যাব এবং রোগী দেখা জন্য স্বল্প পরিসরে একটা আউটডোর খোলা হয়।

কঠোর পরিশ্রম এবং সর্বস্তরের সহযোগিতার মাধ্যমে এই হাসপাতালটি বর্তমানে ৩০০ শয্যার হাসপাতাল হয়েছে। এ ছাড়া ৯৬ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে কিডনি সংযোজন করা হয়, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, একটি আইসিইউ, ইনডোর ও আউটডোর কার্যক্রম চলছে।

এই হাসপাতালে ৬০০ কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী খুব কম খরচে দেখা হয়ে থাকে। একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা মাত্র ১০০ টাকায় রোগী দেখেন এবং একজন অধ্যাপক ৫০০ টাকায় ও সহযোগী অধ্যাপক ৪০০ থেকে রোগী দেখছেন।

২০১৭ সালে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি’ মাধ্যমে রেনাল সিস্টার প্রোগ্রাম শুরু করা হয়। রেনাল সিস্টার প্রোগ্রামে উদ্দেশ্য হচ্ছে কিডনি রোগের আধুনিক চিকিৎসা প্রদান, শিক্ষা ও গবেষণা প্রশস্ত করা। এতে মেন্টর হিসেবে যুক্ত রয়েছে রয়েল লন্ডন হাসপাতাল। বিজ্ঞপ্তি।