২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধন আনে তৎকালীন সরকার। ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড যোগ করা হয়। ধর্ষণের মামলায় ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। এবার মাগুরার শিশুটির ঘটনায় ওই আইনে সংশোধন এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। জনতুষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার তড়িঘড়ি করে আইন সংশোধন করল কি?
আসিফ নজরুল: মাগুরার শিশুটির ঘটনা ছিল হৃদয়বিদারক। আইন দ্রুত সংশোধন করার ক্ষেত্রে এ ঘটনাটি ভূমিকা রেখেছে সত্য; তবে ওই ঘটনা না ঘটলেও আইনটি সংস্কারে উদ্যোগ নিতাম। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সীমাবদ্ধতা ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমরা আগে থেকে অবগত ছিলাম। আইনটি সংশোধনের আগে তড়িঘড়ি নয়, ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে। অনেক মহলের মতামত বিবেচনায় নিয়ে সংশোধন আনা হয়েছে।
যৌন নির্যাতনের নানা ধরন তুলে ধরে ‘ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট’ সাত বছর ধরে ধর্ষণের সংজ্ঞা বিস্তৃত করার দাবি করে আসছে। জোট বলছে, সরকার আলোচনায় তাদের ডাকেনি।
আসিফ নজরুল: ‘ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট’কে ডাকলে ভালো হতো। তবে তাদের দাবিগুলো অন্যদের দাবির মধ্যেও এসেছিল। আইনের খসড়া বিষয়ে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের লিখিত মতামত পেয়েছি। হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মতামত নেওয়া হয়েছে। এসব মতামতের ৬০ শতাংশ গ্রহণ করা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়, তিনজন উপদেষ্টা এবং আইন ও ফরেনসিক–বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়েছে। রাজপথে আন্দোলনে শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার আলাদা ট্রাইব্যুনালে করার দাবি ছিল। আইনে সংশোধন এনে ২৬ক ধারায় শিশু অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। আসলে এটা এমন একটি আইন, তা সংশোধনে যত আলোচনাই করা হোক না কেন, মনে হবে আলোচনা যথেষ্ট হয়নি।
নতুন অধ্যাদেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা দণ্ডবিধির ধারা অনুসারেই রয়েছে। সেখানে ধর্ষণকে নারীর বিরুদ্ধে পুরুষের অপরাধ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ধর্ষণের সংজ্ঞায় ভুক্তভোগীকে ‘ব্যক্তি’ উল্লেখ করা হলে নারী ও শিশুর বাইরে অন্য লিঙ্গের মানুষেরা ধর্ষণের শিকার হলে বিচার পেতে পারতেন। এ সমস্যার তো সমাধান হলো না।
আসিফ নজরুল: ধর্ষণের সংজ্ঞায় আলাদা করে পরিবর্তন না আনা হলেও ‘যৌনকর্ম’ দফা যুক্ত করে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের সংজ্ঞা বিস্তৃত করার যে দাবি ছিল, তা যৌনকর্মের ব্যাখ্যায় তুলে আনা হয়েছে। অন্য লিঙ্গের বিষয়ে আমাদের এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তবে ছেলেশিশুদের বিরুদ্ধে যৌনকর্মকে ‘বলাৎকার’ হিসেবে আইনের ২ ধারায় যুক্ত করা হয়েছে। ধর্ষণ বলতে ‘বলাৎকার’কেও বোঝাবে। ১৬ বছরের কম বয়সী ছেলেশিশুরা এই ধারায় বিচার পাবে।
ছেলেশিশুদের ধর্ষণের বিষয়টি আগে আইনে শনাক্ত করা ছিল না। বিচারকেরা অন্য বিচারকাজের উদাহরণ টেনে ১৬ বছরের কম বয়সী ছেলেশিশুদের ধর্ষণের বিচার করতেন এই আইনে। শিশু আইন ২০১৩ ও বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুসারে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ধরা হয়। ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মেয়ে ও ছেলেশিশুর বয়স ১৮ করার একটা দাবি ছিল।
আসিফ নজরুল: বয়স আগের আইনে যা ছিল, তা–ই রাখা হয়েছে। আপাতত ১৮ করার সিদ্ধান্ত নেই।
মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা হলে সেটিও প্রতিহত করার বিধান রয়েছে। আইনের ১৭ ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে। বিচারকের যদি মনে হয়, এটা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা, সে ক্ষেত্রে বিচারক সাজা (ক্ষতিপূরণ, সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড) দিতে পারবেন।
অধ্যাদেশে ৯খ ধারা সংযোজন করে ‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম করিবার দণ্ড’ রাখা হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে তা করা হয়েছে? আইনে ধর্ষণের ধারায় ‘প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায়ের’ বিষয়টি এখনো আছে। দুটি বিষয় এক হয়ে গেল কি না, স্পষ্ট করবেন কি?
আসিফ নজরুল: ধর্ষণের অভিযোগে যেসব মামলা হয়েছে, সেসব মামলা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এখানে দুই ধরনের মামলা হয়। একটি হচ্ছে প্রতারণামূলক সম্মতি আদায় বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। অপরটি কোনো ধরনের সম্পর্ক ব্যতীত ধর্ষণ; যেমন মাগুরার শিশুটির ঘটনা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার আধিক্য রয়েছে। এসব মামলার কারণে সম্পর্ক ব্যতিরেকে ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনার বিচার বিলম্বিত হতো। সম্পর্ক ব্যতিরেকে নৃশংস ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচার করতে ‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম করিবার দণ্ড’ ধারা যুক্ত করে একে আলাদা করা হয়েছে। প্রথমোক্ত অপরাধগুলোর তদন্ত ও বিচারের সময়সীমা কমানো হয়েছে; কিন্তু দ্বিতীয় ধরনের অপরাধের (‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম’) ক্ষেত্রে এই সময়সীমা কমানো হয়নি, এসব অপরাধের শাস্তিরও আলাদা সাজার বিধান (সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড) রাখা হয়েছে।
‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম’–সংক্রান্ত ধারার মাধ্যমে নতুন কোনো অপরাধকেও সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। এটি ধর্ষণের প্রচলিত সংজ্ঞার মধ্যেই সুপ্ত ছিল, এমন অভিযোগে বহু মামলাও হতো আগের আইনে। পার্থক্য হচ্ছে, এখন এগুলোর বিচার নতুন বিধান অনুসারে হবে। অন্যদিকে বিয়ের প্রলোভন ছাড়াও অন্যরকমভাবে প্রতারণা করে যৌন সম্পর্কের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা হতে পারে, সেসব অপরাধকে ধর্ষণের প্রচলিত সংজ্ঞা অনুসারে বিচার করা হবে।
‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম করিবার দণ্ড’ ধারায় হয়রানিমূলক মামলা করার ঝুঁকি থাকে কি?
আসিফ নজরুল: মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা হলে সেটিও প্রতিহত করার বিধান রয়েছে। আইনের ১৭ ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে। বিচারকের যদি মনে হয়, এটা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা, সে ক্ষেত্রে বিচারক সাজা (ক্ষতিপূরণ, সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড) দিতে পারবেন।
আইনটি সংস্কারের ফলে ধর্ষণের বিচার দ্রুত হওয়া কি নিশ্চিত হবে?
আসিফ নজরুল: সংশোধনের ফলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাভ হয়েছে। সম্পর্ক ব্যতিরেকে ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের সময় ১৫ কার্যদিবস এবং বিচারের সময় ৯০ কার্যদিবস করা হয়েছে। সময় অর্ধেক কমিয়ে আনায় এই মামলাগুলো গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত বিচার করা যাবে। অপর দিকে প্রতারণামূলক বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের মামলাকে ভিন্ন ধারায় নিয়ে যাওয়ার কারণে ধর্ষণের মামলার জট কমবে। ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক থাকার কারণেও বিচার বিলম্বিত হতো। ডিএনএ পরীক্ষার সনদ পাওয়ার অপেক্ষায় অনেক মামলা বছরের পর বছর আটকে থাকত। অধ্যাদেশের বিধান অনুসারে, ডিএনএ পরীক্ষার সনদ ছাড়াই আদালত যদি মনে করেন, চিকিৎসা সনদ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে আদালত ডিএনএ সনদ ছাড়াই দ্রুত বিচার করতে পারবেন।
কিন্তু তদন্ত ও বিচারের সময় বাড়ানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। সময় নেওয়ার অজুহাতে বিচার দীর্ঘায়িত কি হতে পারে না?
আসিফ নজরুল: আইনে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতেই হবে। যদি তদন্ত কর্মকর্তা বা ভুক্তভোগী গুরুতর অসুস্থ থাকেন? এমন কোনো গুরুতর ঘটনা হতে পারে যে তদন্ত কর্মকর্তা ওই সময়ের মধ্যে কাজ করতে পারলেন না। তাই বিকল্প ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিচারক পরিস্থিতি বিচার করে সময় বাড়াতে পারবেন।
নারীর প্রতি যে সহিংসতা, আক্রমণাত্মক ও অসহিষ্ণু পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আরও উন্নত করার অবকাশ রয়েছে।
ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক না থাকায় প্রকৃত আসামি শনাক্তকরণে সমস্যা হতে পারে কি?
আসিফ নজরুল: ডিএনএ পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ায় মামলা গতি পাবে। আদালত যদি মনে করেন, চিকিৎসা সনদ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, শুধু তখন আদালত ডিএনএ সনদ ছাড়া দ্রুত বিচার করতে পারবেন।
বিচারের দীর্ঘসূত্রতার জন্য তো রাষ্ট্রপক্ষের ব্যর্থতাকেও দায়ী করা হয়। তদন্ত, অভিযোগপত্র গঠন থেকে শুরু করে সাক্ষী হাজির করতে না পারা, বারবার শুনানি পেছানো—বিভিন্ন ধাপে বিচার দীর্ঘায়িত হয়। এ বিষয়ে সরকার কি কিছু করবে?
আসিফ নজরুল: এসব দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা কমাতে প্রতিটি ধাপে কাজ করতে হবে। তবে আইনে যেসব সংশোধন আনা হয়েছে, সেটির সুফল শিগগিরই দৃশ্যমান হবে।
এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ নাজুক অবস্থায় এবং এ কারণে নারী ও শিশুর নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনি কী মনে করেন।
আসিফ নজরুল: আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ শুরু করি। শেখ হাসিনার শাসনামলে বিশেষভাবে যে দুটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা হয়, তা হচ্ছে পুলিশ ও বিচার বিভাগ। পুলিশের ক্ষেত্রে ক্ষতি ছিল বেশি। একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে হয়েছে। এখন সমাজে মতপ্রকাশ করার ইচ্ছা, স্বাধীনতাচর্চা অনেক বেড়েছে। ভিন্নমত প্রকাশের জন্য মামলা করা হচ্ছে না। মানুষের প্রত্যাশা কিছু কিছু ক্ষেত্রে আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। বিপ্লবোত্তর পরিস্থিতি যেমন হয়, অনেক মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে গেছে। ১৫ বছরের চাপা ক্ষোভ, যন্ত্রণা, অবরুদ্ধ থাকার কষ্ট মানুষ একসঙ্গে প্রকাশ করছে। এসব কিছুর প্রতিফলন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর পড়েছে। কখনো কখনো পরিস্থিতি বেশি খারাপ হয়, কখনো কখনো আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলি। নারীর প্রতি যে সহিংসতা, আক্রমণাত্মক ও অসহিষ্ণু পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আরও উন্নত করার অবকাশ রয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা, হয়রানি ও অবমাননাকর ব্যবহার বৈষম্যমূলক, শোষণমূলক ও নিপীড়নমূলক। এটা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ওই সময়ে নেতৃত্ব দেওয়া নারীদের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সরকার এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে।
ডিএনএ পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ায় মামলা গতি পাবে। আদালত যদি মনে করেন, চিকিৎসা সনদ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, শুধু তখন আদালত ডিএনএ সনদ ছাড়া দ্রুত বিচার করতে পারবেন।আসিফ নজরুল, আইন উপদেষ্টা
এখন নারীবিদ্বেষী একটি চক্রকেও সক্রিয় হতে দেখা গেছে। এ ধরনের চক্র সক্রিয় থাকলে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ে বলা হয়। আপনার মত কী?
আসিফ নজরুল: নারীবিদ্বেষী প্রচার যেটা আছে, সেটি সমাজের অজ্ঞানতা ও অশিক্ষার ফসল। এ ধরনের বিদ্বেষমূলক কাজে কখনো কখনো নারীদেরও অংশ নিতে দেখা যায়। এ ধরনের মানুষদের ‘মোরাল পুলিশিং’ করার আগে তাঁদের প্রতি আমার একটাই আবেদন, আগে নিজের ক্ষেত্রে ‘মোরাল পুলিশিং’ করুন। নারী কী পোশাক পরলেন, তা না বলে আপনি সত্য কথা বলেন কি না, আপনার উপার্জন সৎ কি না, আপনি ধর্মের ফরজ পালন করেন কি না, ধর্মের অপব্যাখ্যা করেন কি না, মানুষের উপকার করেন কি না, এসব বিষয়ে আগে নিজের ওপর ‘মোরাল পুলিশিং’ করুন, তারপর ঠিক করুন অন্যকে নৈতিক উপদেশ দেওয়ার যোগ্যতা আপনার আছে কি না। বাংলাদেশে ‘মোরাল পুলিশিং’–এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই, এটা ফৌজদারি অপরাধ।
অপরাধ কমাতে সব নাগরিকের ডিএনএ প্রোফাইলিং করার বিষয়ে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি?
আসিফ নজরুল: এটা খুবই ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। এই সরকার কম সময়ের জন্য এসেছে। এই সময়ে এটা কার্যকর করা সম্ভব না। তবে কাজটি শুরু করা যায় কি না, তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় তুলব।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আসিফ নজরুল: আপনাকেও ধন্যবাদ।