ভবিষ্যৎ নগরায়ণ
২০৩০ সালে শহরে বসবাস করবে ৮ কোটি মানুষ
শহরে মানুষের বসবাস দ্রুত বাড়ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৫ শতাংশ শহরে বসবাস করবে। কিন্তু বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে বহনের জন্য প্রস্তুত নয় এসব শহর।
বাংলাদেশে আগামী সাত বছরের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশের বেশি শহরে বসবাস করবে। ওই সময়ের মধ্যে দেশের জনসংখ্যা হবে ১৮ কোটি ৪০ লাখ। সেই হিসাবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮ কোটি ৩৯ লাখের বেশি মানুষ শহরে বসবাস করবে।
বিশ্বব্যাংকের ‘বিশ্ব উন্নয়ন সূচক’–সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য–উপাত্ত তুলে ধরে ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম।
গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশে দ্রুত নগরায়ণ হলেও বিপুল মানুষকে ধারণ করার জন্য নগরগুলো মোটেই প্রস্তুত নয়। আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ নানা পরিষেবায় নগরগুলো বেশ পিছিয়ে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হয়ে পড়বে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘নগরায়ণের সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধির লাগাম টানা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির সম্প্রসারণ, বেকারত্ব ও প্রজননহার কমানোর বিষয়গুলো জড়িত। এর সঙ্গে দরকার কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর লভ্যাংশকে কাজে লাগানো। কিন্তু বাংলাদেশে তা যথাযথভাবে হচ্ছে না।’
গবেষণায় বাংলাদেশের জনসংখ্যার গতিপ্রকৃতি, নগরায়ণ, গড় আয়ু, নারী–পুরুষের অনুপাত, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর লভ্যাংশ, বয়স্ক জনগোষ্ঠী, প্রজনন হার, শিশু ও নারীমৃত্যুর অবস্থাসহ জনসংখ্যাকেন্দ্রিক নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এসব তথ্য–উপাত্তের নিরিখে ভবিষ্যৎ কী অবস্থা দাঁড়াবে, তা–ও উঠে এসেছে গবেষণায়।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা
জনসংখ্যার নিরিখে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দেশ। গত বছরের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারি ও গৃহগণনার চূড়ান্ত হিসেবে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। প্রতিবেদনটি গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। জনসংখ্যার নিরিখে ২০৫০ সালে বাংলাদেশ দশম বৃহত্তম দেশ হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমার পরও ওই সময় দেশের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৪০ লাখ। ১৯৭৪ সালে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ৬৪। ২০২২ সালে এই হার নেমে এসেছে ১ দশমিক ২২ শতাংশে। আর ২০৩০ সালের পর থেকে এই হার শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০৫০ সালে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হবে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমলেও আয়তনে ছোট বাংলাদেশের জন্য বর্তমান জনসংখ্যা ও ঘনবসতি বড় সমস্যা। দেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব এখন প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ হাজার ১১৯ জন, ২০৫০ সালে ঘনত্ব হবে ১ হাজার ৫৬৬ জন। বিভাগ হিসেবে ঢাকায় জনঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এ বিভাগে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২ হাজার ১৫৬ মানুষের বসবাস। এরপরই ময়মনসিংহ। এই বিভাগে বাস করে ১ হাজার ১৪৬ জন। নগর হিসেবে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে ঢাকায়। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ ঢাকায় বসবাস করে। এরপর চট্টগ্রাম, যেখানে ২০ শতাংশের বেশি মানুষ বাস করে।
পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এই লিঙ্গানুপাত যদি আরও কমে, তবে বহুবিধ জনমিতিক প্রভাব দেখা যেতে পারে। এটা যেমন গ্রামে হবে, তেমনি শহরেও দেখা যাবে।অধ্যাপক মঈনুল ইসলাম
নগরে ছুটছে মানুষ
দেশে নগরে মানুষের বসবাস বাড়ছে। সর্বশেষ জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৩১ দশমিক ৫১ শতাংশ মানুষ নগরে বাস করে। ২০৫০ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ নগরবাসী হবে। ১৯৭৪ সালে নগরে বাস করা মানুষের হার ছিল মোট জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ। নগরায়ণের সবচেয়ে বড় চাপ ঢাকার ওপরে। ঢাকা এখন জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের নবম বৃহত্তম নগর। জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকার অবস্থান হবে তৃতীয়। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা ব্রাজিলের সাও পাওলো ও ভারতের মুম্বাইকে ছাড়িয়ে যাবে।
নগরায়ণ পরিকল্পনায় কেবল ঢাকাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান। ‘আরবান বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অব ট্রানজিশন’ শীর্ষক নগরায়ণসংক্রান্ত একটি গবেষণা করেছেন তিনি। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার বাইরে জেলা ও উপজেলা শহর এবং বাজারকেন্দ্রিক মফস্সল শহর রয়েছে।’
নগরে বসবাসের সুযোগ তৈরি, অর্থায়ন, নগর দারিদ্র্য, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের কর্মসংস্থান—এসব বিষয় নগরায়ণের শর্ত বলে মনে করেন হোসেন জিল্লুর। তবে তাঁর কথা, এসব দিকে দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে না।
দ্রুত নগরায়ণের এই সময়ে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। রাজধানী ঢাকা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন শহরগুলোর অবস্থাও এমন হবে না তো—এমন প্রশ্ন তুলেছেন হোসেন জিল্লুর। তিনি বলেন, ‘বাড়তি জনসংখ্যার চাপ গ্রহণ করতে আমাদের রাজধানী যেমন তৈরি হচ্ছে না, একই অবস্থা বাইরের শহরগুলোরও। নতুন নতুন শহর হলে সেখানে কী অবস্থা হবে, তা বর্তমান পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে।’
‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এসব শহর কতটুকু পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে, এমন প্রশ্নে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকাসহ অন্যান্য নগর খুব পরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠেনি, এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করছি না। গবেষকদের শঙ্কা থাকতেই পারে। তবে আমাদের এই প্রকল্প অনেক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা যথাযথ পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছি।’
নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা বাড়ছে
বাংলাদেশের নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী বাড়ছে। শূন্য থেকে ১৪ বছর ও ৬৪ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে নির্ভরশীল বলে ধরা হয়। আর ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বলে বিবেচিত। দেশে এখন ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়স্ক জনগোষ্ঠী ৬৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এটাকে ‘জনমিতিক লভ্যাংশ’ অর্জনে সহায়ক বলে বিবেচনা করা হয়। তবে এই সুবিধা ২০৩৫ থেকে ২০৩৭ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
এখন দেশে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। আর ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর হার ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ২০৫০ সালে ষাটোর্ধ্ব মানুষের হার দাঁড়াবে মোট জনসংখ্যার ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। আর তখন ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের হার দাঁড়াবে মোট জনসংখ্যার ২১ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষ হবে ষাটোর্ধ্ব। ২০৬০ সালে বাংলাদেশ হবে সবচেয়ে বেশি বয়সী জনসংখ্যার সপ্তম বৃহত্তম দেশ।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর লভ্যাংশ অর্জনের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্পর্ক আছে। জনসংখ্যার বিপুল অংশ তরুণ ও বেকার। এই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ, আমরা ক্রমশ বয়স্ক সমাজের দিকে যাচ্ছি। জনসংখ্যার গতিপ্রকৃতি ও নগরায়ণের হার থেকে বোঝা যায়, এই বয়স্ক জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ নগরবাসী হবে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো দরকার। কিন্তু সে জন্য এখনো বাস্তব উদ্যোগ নীতিনির্ধারণী আলোচনায় নেই।’
পরিবার পরিকল্পনায় গতি নেই
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য আছে। কিন্তু মোট প্রজনন হার (টিএফআর) বেশ কিছু সময় ধরে স্থবির হয়ে আছে। জনসংখ্যাবিদেরা বলছেন, প্রজননক্ষম নারীর (সাধারণত ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী বোঝায়) সন্তান জন্ম দেওয়ার সংখ্যাই টিএফআর। ২০০৭ সালে দেশে টিএফআর ছিল ২ দশমিক ৭। এরপর ২০১১ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৯ সাল পর্যন্ত একই হারই ছিল। ২০২০ সালে তা আবার বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। শহরের চেয়ে গ্রামের টিএফআরের হার বেশি।
বিবিএসের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলে টিএফআর ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, শহরের বস্তিতে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। বস্তিসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে করোনার পরে টিএফআর বেড়ে গেছে।
স্থবির প্রজনন হারের সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির স্থবিরতার একটা সম্পর্ক রয়েছে। কারণ, পরিবার পরিকল্পনার জন্য যথাযথ সহায়তা পাচ্ছে না সক্ষম জনগোষ্ঠী। এ ক্ষেত্রে অপূর্ণ চাহিদা এখন ১২ শতাংশ। প্রয়োজন থাকার পরও যদি কেউ পরিবার পরিকল্পনার সামগ্রী না পায়, সেই চাহিদাকে বলা হয় ‘অপূর্ণ চাহিদা’। সার্বিকভাবে ১২ শতাংশ হলেও ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী বিবাহিত কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে এই হার প্রায় ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এই হার শূন্যে নিয়ে যেতে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে (আইসিপিডি) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এটি পূরণ করার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ জনসংখ্যা নীতি ২০১২–এ বলা হয়েছিল, ২০১৫ সালের মধ্যে জন্মনিরোধ ও পদ্ধতি ব্যবহারের হার ৭২ শতাংশে নিয়ে যাবে। এ হার এখনো ৬২ শতাংশ।
বাংলাদেশের দেওয়া এসব প্রতিশ্রুতি ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির অবস্থা নিয়ে জনসংখ্যাবিদ ওবায়দুর রব প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী। এটা কারা দিয়েছিল, তা জানি না। যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা সম্পর্কে কতটুকু সজাগ, তা আমার বোধগম্য নয়।’
পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির এই ঢিলেঢালা গতি নগর অঞ্চলে বেশি প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ আরবান হেলথ সার্ভে অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন এলাকার বস্তিতে ২০১৩ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী গর্ভবতী নারীর হার ছিল ২১ শতাংশ। এটা ২০২১ সালে বেড়ে হয়েছে ২২ শতাংশ। সিটি করপোরেশন এলাকায় বস্তির বাইরেও এ বয়সী গর্ভবতী নারীর হার বেড়েছে। ২০১৩ সালে এই হার ১৩ শতাংশ হলেও এটা ২০২১ সালে বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ।
শিশু ও নারীমৃত্যুর হার এবং গড় আয়ু
বাংলাদেশে নবজাতক থেকে শুরু করে ৫ বছর বয়সী শিশুমৃত্যুর হার কমছে। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ অনুযায়ী, ১৯৯৩-৯৪ সালে দেশে প্রতি হাজারে নবজাতকের মৃত্যু হতো ৫২। আর ২০১৮ সালে এসে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০। দেশে ১৯৯৩-৯৪ সালে হাজারে ৫ বছর বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ছিল ১৩৩। ২০১৮ সালে তা কমে হয়েছে ৪৫। দেশে প্রসবজনিত মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা ২০০১ সালে প্রতি লাখে ছিল ৩২২। ২০২০ সালে এই সংখ্যা কমে হয়েছে ১৬৩। গ্রামের চেয়ে শহরে মাতৃমৃত্যুর হার কম। শহরে লাখে এই সংখ্যা ১৩৮, গ্রামে ১৭৮।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা লাখে ১০০–তে পৌঁছানোর কথা। আইসিপিডিতে দেওয়া বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা শূন্যতে পৌঁছাবে।
২০২২ সালে দেশে জনশুমারিতে প্রথমবারের মতো পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি হয়েছে। দেশে প্রতি ১০০ নারীর অনুপাতে পুরুষের সংখ্যা ৯৮ দশমিক ৪। ২০৫০ সালে নারীর সংখ্যা আরও বাড়বে। সে সময় প্রতি ১০০ নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা হবে ৯৫ দশমিক ২৩।
অধ্যাপক মঈনুল ইসলাম বলেন, পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এই লিঙ্গানুপাত যদি আরও কমে, তবে বহুবিধ জনমিতিক প্রভাব দেখা যেতে পারে। এটা যেমন গ্রামে হবে, তেমনি শহরেও দেখা যাবে। সেখানে লৈঙ্গিক সমতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এ বিষয়টিকে আমলে নিয়ে ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণ করাটাও জরুরি।