ঢাকায় কাতারের আমিরকে লালগালিচা সংবর্ধনা
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছেন। বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর আগে কাতারের আমিরকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
কাতারের আমির ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ উড়োজাহাজ বিকেল পাঁচটার দিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে কাতারে আমিরের অবতরণের সময় ২১বার তোপধ্বনি করা হয়।
এরপর কাতারের আমিরকে অস্থায়ী অভিবাদন মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মানের অংশ হিসেবে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরে কাতারের আমির প্যারেড পরিদর্শন করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন কাতারের আমিরকে অভিবাদন জানানোর সারিতে অপেক্ষমাণদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। কাতারের আমিরও তাঁর প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে পরিচয় করিয়ে দেন।
এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. নসরুল হামিদ (বিপু), তিন বাহিনীর প্রধানেরা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। সফরকালে কাতারের আমির তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করবেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এরপর সকাল সোয়া ১০টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শিমুল হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
পরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তিগুলো হচ্ছে দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পণ্য পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন। এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি এমওইউ সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করবেন।
এ দিন সন্ধ্যায় কাতার এয়ারওয়েজের বিশেষ উড়োজাহাজে করে কাতারের আমিরের দেশের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাঁকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।