সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের তথ্য চাওয়া হয়েছিল কি না, জানতে চান হাইকোর্ট
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে অর্থ রাখা বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছিল কি না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ তথ্য জানতে চান। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীকে আগামী রোববার জানাতে বলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব টকে বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেন, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জমা করা অর্থের বেশির ভাগ অবৈধ পথে আয় করা হয়েছে, এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত সুইস ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি।
সুইস রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবির ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছরে বাংলাদেশিরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ও দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার সুইস ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে সুইস রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেছেন। তাঁর এই বক্তব্যের সঠিকতাসহ সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের তথ্য চাওয়া হয়েছে কি না, তা রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে রোববার জানাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে খোঁজখবর নিয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।