২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ট্রেনের টিকিট কাটতে আজ থেকে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র

  • রেলের কর্মকর্তারা পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে টিকিট যাচাই করবেন।

  • কেউ অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে ভ্রমণ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্রেন
ফাইল ছবি

জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ ছাড়া ট্রেনের টিকিট নয়—আজ বুধবার থেকে রেলে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এ ব্যবস্থায় বিদেশি নাগরিকদের ট্রেনে ভ্রমণে পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকিট নিতে হবে।

রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের মাধ্যমে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। রেলের কর্মকর্তারা পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে টিকিট যাচাই করবেন। কেউ অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে ভ্রমণ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ব্যবস্থাকে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বলছে রেলওয়ে। টিকিট কালোবাজারি বন্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সরকারি উদ্যোগের অংশ এটি। আজ সকাল সাড়ে আটটায় কমলাপুর রেলস্টেশনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন

তবে এর মাধ্যমে অনেক যাত্রীই ট্রেনে চড়তে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন রেলেরই কোনো কোনো কর্মকর্তা। রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ব্যবস্থায় যাত্রীদের হয়রানি ও কষ্ট বাড়বে। কারণ, এই ব্যবস্থায় টিকিট কাটতে হলে ১২ বছরের বেশি বয়সী দেশের জনসংখ্যার সবাইকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটতে হলে অন্তত একটি ই-মেইল আইডি লাগবে। কারণ, ই-মেইল আইডি দিয়ে সাইন আপ ছাড়া নিবন্ধন কিংবা টিকিট কাটা যাবে না। আর যাঁরা কাউন্টার থেকে টিকিট কাটবেন, তাঁদেরও আগে থেকে নিবন্ধন থাকতে হবে। এই বিবেচনায় দেশের একটা বড় জনগোষ্ঠী টিকিট কাটার সুযোগই পাবে না।

এই পদ্ধতি চালু হলে অনেক যাত্রীই ট্রেনে চড়তে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

এদিকে নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ার খবরে অনলাইন ও কাউন্টারে রেলের অগ্রিম টিকিট নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আগামী কয়েক দিনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া আগামী শনিবার পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট গতকাল বিক্রি হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত যেসব যাত্রী টিকিট নিয়েছেন, তাঁদের ওপর আগামী চার দিনের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি কার্যকর করা সম্ভব নয়। নতুন ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হতে শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই পদ্ধতি কার্যকর করা কঠিন হবে। কারণ, আন্তজেলা পর্যায়ে অনেক যাত্রী টিকিটই কাটেন না। আর ট্রেনে পরীক্ষা করার মতো লোকবল নেই। আগের মতো টিটিইদের বাড়তি আয়ের পথ তৈরি হবে।

যাত্রীরা এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন বা পাসপোর্টের মাধ্যমে নতুন ব্যবস্থায় নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। দেশের বিভাগীয় শহরের রেলস্টেশন ও আন্তনগর ট্রেনের প্রারম্ভিক স্টেশনগুলোতে সর্বসাধারণের নিবন্ধনপ্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য একটি করে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।