দেশে ১৮ বছরের নিচে বাল্যবিবাহের হার ৫১ দশমিক ৪০। আর ১৫ বছরের নিচে এই হার ১৫ দশমিক ৫০।
আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এই তথ্য জানান মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। দেশে বাল্যবিবাহ পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হকের এক প্রশ্নের জবাবে ২০১৯ সালে প্রকাশ করা মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় পরিচালিত জরিপ) উদ্ধৃত করে ওই তথ্য সংসদে তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নেওয়া ১৭টি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, দেশে ১৮ বছরের নিচের বয়সী মেয়েদের বিয়ে হলে তা বাল্যবিবাহ হিসেবে ধরা হয়। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ে এবং ২১ বছরের নিচে কোনো ছেলের বিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে এই আইনের ১৯ ধারায় ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ বা ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো মেয়ের ‘সর্বোত্তম স্বার্থ’ বিবেচনায় আদালতের নির্দেশে বিয়ে হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী জানান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ৬৪টি জেলায় মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ১৫০টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে সিমিন হোসেন জানান, সাঁতার প্রশিক্ষণ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ৫ লাখ ৯ হাজার ৮৭০ শিশুকে সাঁতার শেখানো হয়েছে।