রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএসএআইডির দেওয়া খাদ্যসহায়তা চলবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) তাদের চলমান সব প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ অথবা স্থগিতের নির্দেশ দিলেও বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য দেওয়া খাদ্য ও পুষ্টিসহায়তা কার্যক্রম এ স্থগিতাদেশের বাইরে থাকবে। অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের জন্য দেওয়া খাদ্য ও পুষ্টিসহায়তা কার্যক্রম চলবে। আর এ স্থগিতাদেশ বাংলাদেশের জন্য বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না।
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানানো হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ–প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন। প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতেও একই কথা জানানো হয়।
ইউএসএআইডি তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী সব অংশীজনকে তাদের অধীন চলমান সব প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ অথবা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে। গতকাল শনিবার ইউএসএআইডি বাংলাদেশ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রপতির উপ–প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ৯০ দিনের জন্য ইউএসএআইডির যাবতীয় সাহায্য পৃথিবীর সব দেশের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তবে সেখানে রোহিঙ্গাদের পুষ্টি ও রিসোর্সেস সরবরাহ করত, সেটি জারি থাকবে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের প্রতিনিধি। এ সময় খলিলুর রহমানও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ইউএসএআইডির কার্যক্রম স্থগিতের ফলে কী ধরনের প্রভাব পড়বে—এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ইউএসএআইডির মূল সাহায্য আসে রোহিঙ্গা নিয়ে। সাত বছরে রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি দিয়েছে। সরকার আশা করছে, এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আর এটি (স্থগিত) ৯০ দিনের কথা বলা হয়েছে। আর বাংলাদেশে বিদেশি সহায়তা এমনিতেই কমে গিয়েছিল। বাংলাদেশের জন্য এটি বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না।