কৃষি খাতে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ

অতিথি ও জুরি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে পুরস্কার বিজয়ী আটজন (সামনে বসা)। তাঁরা হলেন (বাঁ থেকে) গিয়াস উদ্দিন, গোলাম সারোয়ার, প্রীতিলতা ত্রিপুরা, তালহা জুবায়ের, এম এ রহিম, কাজী আশরাফুল হাসান, মাসুমা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম। পেছনে দাঁড়ানো (বাঁ থেকে) প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, ইমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মন্ডল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের এবং  কৃষিবিদ ও উইন ইনকরপোরেটের প্রধান নির্বাহী কাশফিয়া আহমেদ। ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বরছবি: তানভীর আহাম্মেদ

দেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষের খাবারে টান পড়ছে না। শাকসবজি, ফলমূল, চাল–ডালের দামের ওঠা-নামা আছে বটে; কিন্তু মানুষ খেয়ে–পরে বেঁচেবর্তে আছে—এটা বাস্তব সত্য। এর পেছনে বড় অবদান মাঠে–ময়দানে রোদ–বৃষ্টি মাথায় নিয়ে উদয়াস্ত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করা কৃষিজীবীদের। সঙ্গে সেই গবেষক–উদ্ভাবকদেরও, যাঁরা তাঁদের মেধা দিয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির সুবিধা করে দিচ্ছেন। বরাবরই তাঁরা কৃতিত্বের স্বীকৃতির প্রত্যাশা না করে নীরবে নিজের কাজ করে চলেন। তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রথম আলো। আজ মঙ্গলবার কৃতী কৃষক, গবেষক ও উদ্যোক্তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করা হলো জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে।

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে বিকেলে অনুষ্ঠিত হলো সিটি গ্রুপ-প্রথম আলো কৃষি পুরস্কার-২০২৪। এটি কৃষি পুরস্কারের দ্বিতীয় আয়োজন। প্রথমবার ২০১৮ সালে ‘তীর-প্রথম আলো কৃষি পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছিল ৯ জনকে। আর আজ আজীবন সম্মাননাসহ মোট ছয়টি বিভাগে আটজনকে পুরস্কৃত করা হয়। এই পুরস্কার কৃষক, উদ্যোক্তা ও গবেষকদের অনুপ্রাণিত করবে। তাঁরা কৃষি খাতকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল সমবেত কণ্ঠে ‘হেই সামালো ধান হো/কাস্তেটা দাও শাণ হো’ গানের পরিবেশনায়। এতে অংশ নেন কাইফ মহাম্মদ অয়ন, ভূমিকা বিশ্বাস, অনিক সূত্রধর, দীপান্বিতা শীল সিঁথী, অরিন্দল দে ও অঙ্কিতা মল্লিক। স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসনের অনেক অভাব। তবে কৃষিক্ষেত্রে দেশে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। কৃষিবিজ্ঞানীরা উন্নত জাত ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এসব জাত ও প্রযুক্তির প্রয়োগে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে কৃষকেরা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন। এর ফলে দেশের মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হয়েছে। কৃষি দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।

কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিজ্ঞানী ‘ফলমানব খ্যাত’ এম এ রহিমের হাতে আজীবন সম্মাননার ক্রেস্ট তুলে দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। এ সময় মঞ্চে ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান (বাঁয়ে) ও সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী (ডানে)। ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রে কৃষির প্রতি যে মনোযোগ ও দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার, তার ঘাটতি রয়েছে; কিন্তু কৃষি খাত দেশের অর্থনীতির একটি শক্তিশালী খুঁটি। এখানে আরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষক ও বিজ্ঞানীরা বড় ধরনের অবদান রেখেছেন। আরও অনেকে অনেকভাবে কৃষি খাতে কাজ করছেন। তবে এখন উন্নত জাত ও প্রযুক্তির উদ্ভাবনের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন করতে হবে।

হোসেন জিল্লুর রহমান আরও বলেন, পোশাক খাত ও প্রবাসী আয় দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু কৃষি খাতে প্রচুর প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। খাদ্যশস্যের পাশাপাশি মৎস্য, পশুপালন— সব মিলিয়ে সমন্বিতভাবে বড় আকারে কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে এই খাত জাতীয় প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে তৃতীয় প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে পারে। তিনি এ জন্য কৃষকদের সহজে আর্থিক ঋণ দিতে পিকেএসএফকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে তিনি এই কৃষক, উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের পুরস্কৃত করার এই আয়োজনের জন্য প্রথম আলো ও সিটি গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান। এই পুরস্কার দেশের সমৃদ্ধির জন্য তাঁদের আরও বেশি অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো কৃষি পুরস্কার ২০২৪ অনুষ্ঠানে অতিথি ও দর্শনার্থীদের একাংশ। ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

এবার সিটি গ্রুপ-প্রথম আলো কৃষি পুরস্কারের জন্য অনলাইন ও অফলাইনে ১ হাজার ৬৪টি আবেদন জমা পড়ে। বিচারকমণ্ডলী যাচাই–বাছাই করে বিজয়ীদের নির্বাচিত করেছেন।

বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মণ্ডল বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা দেখার সময় যেমন তাঁরা সবার প্রতি সুবিচার করার জন্য সতর্ক থাকেন, তেমনিভাবেই পুরস্কারে বিচারকাজ করেছেন। তিনি বিজয়ীদের অভিনন্দন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

অন্য বিচারকেরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়নের অধ্যাপক জেবা ইসলাম সেরাজ (তিনি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন), পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক ও উইন ইনকরপোরেটের প্রধান নির্বাহী কৃষিবিদ কাশফিয়া আহমেদ। তাঁদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘হেই সামালো ধান হো’ দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন তরুণ প্রজন্মের ছয় শিল্পী। (বাঁ থেকে) কাইফ মহাম্মদ অয়ন, ভূমিকা বিশ্বাস, অনিক সূত্রধর, দীপান্বিতা শীল সিঁথী, অরিন্দল দে ও অঙ্কিতা মল্লিক। ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

দেশে ফল চাষে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘ফল মানব’খ্যাত অধ্যাপক এম এ রহিমকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে দেখানো হয়। এম এ রহিম ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগে তরুণ প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি সেখানে গড়ে তোলেন বিশাল জার্মপ্লাজম সেন্টার। এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৭০০ মাতৃগাছ। তিনি ২০২১ সালে অবসর নিয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।

জুরিবোর্ডের সভাপতি ও ইমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মন্ডল বক্তব্য দেন। এ সময় মঞ্চে ছিলেন জুরিবোর্ডের উইন ইনকরপোরেটের প্রধান নির্বাহী কাশফিয়া আহমেদ (বাঁয়ে), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক (ডান থেকে দ্বিতীয়) ও পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের (ডানে)। ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় এম এ রহিম বলেন, দেশের মানুষের খাবারের চাহিদা মিটলেও এখনো পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে মাছ-মাংসের পাশাপাশি ফলমূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে দেশি ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করলে তা মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। এখনো তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

পুরস্কার পেলেন যাঁরা

অনুষ্ঠানে সেরা কৃষি উদ্ভাবন বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদপুরের কাজী আশরাফুল হক। তিনি গৃহস্থালি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সেই বর্জ্য থেকে সবুজ সার উৎপাদনের জন্য এই স্বীকৃতি পান।

সেরা কৃষি উদ্যোক্তা বিভাগে পুরস্কার পান ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ উদ্যোক্তা মো. গোলাম সারোয়ার। তিনি ভুট্টাগাছ থেকে গোখাদ্য সাইলেজ উৎপাদন ও বিপণন করায় এই পুরস্কার পেয়েছেন।

সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

কুমিল্লার চান্দিনার মো. গিয়াস উদ্দিন পুরস্কার পেয়েছেন সেরা নগর সবুজায়ন বিভাগে। তিনি ঢাকায় ছাদবাগান ও ল্যান্ডস্কেপিং করে সাফল্য অর্জন করেছেন।

কৃষিতে সেরা নারীর পুরস্কার জিতেছেন দুজন। তাঁদের একজন খাগড়াছড়ির সীমান্তঘেঁষা কয়লা গ্রামের প্রীতিলতা ত্রিপুরা। তিনি গোলমরিচ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। অনেককে গোলমরিচ চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন। অন্যজন বগুড়ার মাসুমা আক্তার। তিনি গরুর মাংসের আচার তৈরি করে বিশ্বের ১৭টি দেশে রপ্তানি করছেন।

সেরা কৃষি ব্র্যান্ডের পুরস্কারও পেয়েছেন দুজন। নাটোরের লালপুরের ঔষধি গ্রামখ্যাত কাঁঠালবাড়িয়ার মো. শহিদুল ইসলাম তাঁর ‘রোজেলা চা’ এবং কৃষিবিদ তালহা জুবায়ের তাঁর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘কৃষি বায়োস্কোপ’–এর জন্য এই পুরস্কার পান।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেকের কাজের ওপরে একটি করে প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে দেখানো হয়। পরে প্রধান অতিথি এবং বিচারকমণ্ডলীর সদস্য এবং আয়োজকেরা বিজয়ীদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

সমাপনী বক্তব্যে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, বছরের শেষ দিনে এসে কৃষিক্ষেত্রে যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদের পুরস্কৃত করা অত্যন্ত আনন্দের। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য কৃষির সংবাদ অনেক ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব পায়। তাই বলে কৃষির গুরুত্ব মোটেই কম নয়। এ জন্য কৃষিতে যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদের সম্মানিত করতে, অনুপ্রাণিত করতে এই পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে তিনি সিটি গ্রুপের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা ফজলুর রহমানকে স্মরণ করেন।

ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন শিল্পী পূর্ণ চন্দ্র দাশ। ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেওয়ার ফাঁকে ভাওয়াইয়া ‘বাউকুমটা বাতাস যেমন’ গেয়েছেন শিল্পী পূর্ণচন্দ্র দাশ। সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির সমন্বয়ক মুনির হাসান ও প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা। অনুষ্ঠানের প্রচার সহযোগী ছিল নাগরিক টিভি।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, যুব কার্যক্রম ও ইভেন্টসের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান এবং প্রথম আলোর ট্রাস্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা। ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ