‘উদ্বেগজনক’ পরিস্থিতির অবসানে শুক্রবার বাদ জুমা সারা দেশে দোয়ার কর্মসূচি হেফাজতের

হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ

চলমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সারা দেশে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর রাজধানীর  উত্তরায় একটি মাদ্রাসায় সংগঠনের এক ভার্চ্যুয়াল সভায় হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এই আহ্বান জানান।

হেফাজতের আমির বলেন, বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী নিরীহ ছাত্রদের সঙ্গে প্রশাসনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শত শত ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন, হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। যৌক্তিক এ আন্দোলনকে দমন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ছাত্র–জনতার ওপর বলপ্রয়োগ ও বেপরোয়া নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতাকে নির্বিচার গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

হেফাজতের আমির আরও বলেন, ‘চলমান নাজুক পরিস্থিতিতে আসুন আমরা সকলেই আমাদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন। আমি দেশের সকল মসজিদের ইমাম ও খতিবদের কুনুতে নাজেলা পড়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং বিচারবহির্ভূত জুলুম থেকে নিরস্ত্র মানুষকে হেফাজতের জন্য দোয়া করার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।’

বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়খ সাজিদুর রহমান গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ছাত্রদের কাউকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হবে না, মামলাও দেবে না। কিন্তু সারা দেশে ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং নির্বিচার গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘একদিকে সরকার সহানুভূতির কথা বললেও অন্যদিকে ছাত্র–জনতার ওপর হামলা ও মামলা অব্যাহত রেখেছে। আমরা সরকারের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

দেশের এই উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য অবিলম্বে সরকারকে সব ধরনের রাজনৈতিক অপকৌশল, নির্যাতন, নিপীড়ন এবং অহেতুক হামলা ও মিথ্যা মামলার হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’

বৈঠকে সংগঠনের নেতারা দ্রুত সময়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল করা, ছাত্রদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে তা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, মুফতি বশিরুল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, মুফতি কামাল উদ্দিন, মুফতি জাকির হুসাইন কাসেমী, মুফতি আনিসুর রহমান, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা শরিফুল্লাহ প্রমুখ।