প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে ভয় দেখানোর চেষ্টা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)– এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশের স্ক্রিনশট

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং প্রথম আলোর রাজশাহী ও বগুড়া কার্যালয়ে হামলার ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠনটি বুধবার তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায়। এ ধরনের ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টাকে চূড়ান্তভাবে বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আরএসএফ।

আরএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ দুটি পত্রিকা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার-এর কয়েকটি কার্যালয়ে বিক্ষোভকারীরা সহিংস হামলা চালায়। এই সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানায় আরএসএফ। সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ এবং বহু পক্ষের মতামত তুলে ধরতে পারা সংবাদমাধ্যমের কাজের পরিবেশ যেখানে তৈরি করা জরুরি, সে দেশে এই সংবাদমাধ্যম দুটির বিরুদ্ধে এ ধরনের চেষ্টা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুন

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কাঠামোগত সংস্কার আনতে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে আরএসএফ। এখন বিক্ষোভকারীরা ঢাকায় ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং তাদের কয়েকটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাজশাহী শহরে ২০০ বিক্ষোভকারী প্রথম আলো কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে এবং সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে। উগ্র ভারতবিরোধী ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর পরিকল্পনায় আয়োজিত এই সহিংস বিক্ষোভের উদ্দেশ্য ছিল কথিত ‘ভারতীয় এজেন্ট’ তকমা দিয়ে পত্রিকা দুটির নিন্দা জানানো।

আরএসএফের দক্ষিণ এশিয়া ডেস্কের প্রধান সেলিয়া মার্সিয়ের বলেন, দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর ওপর অগ্রহণযোগ্য হামলা এবং ভীতি প্রদর্শনের নিন্দা জানায় আরএসএফ। প্রতিশোধমূলক আইনি হয়রানি সত্ত্বেও শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে যেকোনো মূল্যে নিজেদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করে পত্রিকা দুটি। কোনো ধরনের বিধিনিষেধ ও হয়রানি ছাড়াই মুক্তভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে এখন তাদের সাহায্য করা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।

সেলিয়া মার্সিয়ের আরও বলেন, সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ অনিরাপদ হয়ে ওঠা ঠেকাতে সাম্প্রতিক সহিংস হামলার উসকানিদাতা ও হোতাদের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি।