আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১১ বছর পর আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে দলীয় জনসভায় বক্তব্য দেবেন। সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে যাচ্ছেন নেতা–কর্মীরা। দিচ্ছেন স্লোগান। হাতে রয়েছে পোস্টার ও ব্যানার।
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় বিজয়ী করার জন্য জনগণের কাছে ম্যান্ডেট চাইবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা।
চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলা থেকে বাস ও ট্রাকযোগে লোকজন জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য রওনা হয়েছেন। সকাল ১০টা থেকে জনসভার মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে। দুপুর ১২টায় স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন। বেলা তিনটার দিকে সভাস্থলে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) থেকে হেলিকপ্টারযোগে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে নামবেন। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে জনসভার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের তদারকে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এটি স্মরণকালের বড় জনসভা হবে। ১১ বছর পর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জনসভায় উপস্থিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণা দেবেন বলে তাঁরা আশা করছেন। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনে দলকে পুনরায় ক্ষমতায় আসীন করতে দিকনির্দেশ দেবেন।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এই জনসভা ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রচারণা চলছে। নগরের অলিগলি রাজপথ ছেয়ে গেছে পোস্টার, ব্যানার ও তোরণে।
জনসভা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এসএসএফ আগে থেকে জনসভাস্থলসহ সম্ভাব্য সব স্থান ঘুরে দেখেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে কেবল মাঠ ও আশপাশের এলাকায় সাত হাজারের বেশি পুলিশের সদস্য থাকছেন।
জনসভার মাঠ ও আশপাশের এলাকায় ৩০০ মাইক বসানো হয়েছে। জনসভাস্থলের দুই থেকে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত মাইকের শব্দ পাওয়া যাবে। মাঠে থাকবে সাউন্ড সিস্টেম। নগরের দেওয়ানহাট, সিআরবি, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, কদমতলী, স্টেশন রোডসহ আশপাশের এলাকায় এই মাইকগুলো লাগানো হয়।
এ ছাড়া টাইগারপাস, দেওয়ানহাট, সিআরবি, স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি বড় পর্দা লাগানো হবে বলে জানা গেছে। মাঠের বাইরে অবস্থানরত লোকজন ওখানে দাঁড়িয়ে জনসভার কার্যক্রম দেখবেন।
সর্বশেষ ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জনসভা সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে রেডিসন গোলচত্বর, ইস্পাহানি মোড়, টাইগারপাস হয়ে পলোগ্রাউন্ড সমাবেশস্থল এবং পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত সড়ক সকাল আটটা থেকে ভিভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এ ছাড়া হাই লেভেল রোড, ওয়াসার মোড়, লালখান বাজার উড়ালসড়কে নামার মুখ, পুরোনো রেলস্টেশন, কদমতলী মোড়, ব্রিজঘাট, নতুন ব্রিজ, জাকির হোসেন রোডসহ বিভিন্ন মোড়ের মুখে ঢুকতে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ভিভিআইপিদের যাতায়াতের সময় সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।