মেটা ও টিকটকের কাছে তথ্য চেয়ে ও আধেয় সরাতে সরকারের অনুরোধ বাড়ছে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের বিষয়ে সরকার প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে নিয়মিত তথ্য চেয়ে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে এসব প্ল্যাটফর্মে প্রচার হওয়া আধেয় (কনটেন্ট) সরানোর অনুরোধও জানানো হয়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের কাছে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধও বছর বছর বেড়ে চলছে।
মেটা ও টিকটক দুটি প্রতিষ্ঠানই ছয় মাস পর পর ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। তাতে ব্যবহারকারীদের দেশের সরকারের পক্ষ থেকে কী পরিমাণে তথ্য চাওয়া হয় ও এর পরিপ্রেক্ষিতে প্ল্যাটফর্মগুলো কতটা সাড়া দেয়, তা উল্লেখ থাকে।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের কাছে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধও বছর বছর বেড়ে চলছে।
মেটার সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার তাদের কাছে ১ হাজার ২৭৮ ব্যবহারকারী/অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। মেটা ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।
মেটা ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ–বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। তাতে দেখা যায়, প্রতিবছরই বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ বাড়ছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৪৪৯ অ্যাকাউন্ট/ব্যবহারকারী সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়।
টিকটক তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের দায়ে ১১৩টি ও স্থানীয় আইন ভঙ্গের দায়ে ১ হাজার ১৪২টি আধেয়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে চলতি মাসে প্রকাশিত টিকটকের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৩ হাজার ৮১৩টি আধেয় সরাতে টিকটকের কাছে অনুরোধ করেছে। এর মধ্যে টিকটক তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের দায়ে ১১৩টি ও স্থানীয় আইন ভঙ্গের দায়ে ১ হাজার ১৪২টি আধেয়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। এটিও তথ্য চেয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত করা সবচেয়ে বড় অনুরোধ।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সরকার ১ হাজার ৯২৩টি আধেয় সরাতে টিকটকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল। টিকটক নিজ উদ্যোগেও বাংলাদেশ থেকে আধেয় সরিয়ে থাকে। যেমন গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৭টি ভিডিও সরিয়েছে।