যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু, আন্তনগর ট্রেন বৃহস্পতিবার
মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরুর এক দিন পর আজ মঙ্গলবার স্বল্প দূরত্বের মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার আন্তনগর ট্রেন চলাচল করবে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দুই দিন আগে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এ তথ্য জানিয়েছিল।
সেদিন সন্ধ্যায় রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তাঁরা পর্যায়ক্রমে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার মালবাহী ট্রেন দিয়ে শুরু হবে। এরপর স্বল্প দূরত্বের ট্রেন, সব শেষে আন্তনগর ট্রেন চালু করা হবে।
যেহেতু আন্তনগর ট্রেনগুলো দূরের পথে চলাচল করে। অনেক ট্রেন গভীর রাতে চলে। এসব ট্রেনের নিরাপত্তা দিতে রেলওয়ে পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরঅ্যান্ডবি) প্রয়োজন। এ জন্য আন্তনগর ট্রেন চালু করতে কিছুটা সময় নেওয়া হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব পুলিশ সদস্যকে চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে রেলওয়ে পুলিশ ও আরঅ্যান্ডবি সদস্যরা কাজে যোগ দেবেন বলে আশা রেল কর্তৃপক্ষের।
কোটা সংস্কার আন্দোলন সংঘাতে রূপ নিলে গত ১৮ জুলাই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর স্বল্প দূরত্বে মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চালু করা হয়েছিল। চলেছিল কিছু মালবাহী ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেনও। কিন্তু ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রতিদিন ৪০০টির মতো যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী, বন্ধন ও মিতালি এক্সপ্রেসও রয়েছে। আন্তদেশীয় ট্রেনগুলো ১৮ জুলাই বন্ধ করার পর আর চালু হয়নি। এ ক্ষেত্রে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা ছাড়া এসব ট্রেন এখনই চালু করা যাবে না। সারা দেশে ট্রেনে প্রতিদিন চলাচল করে প্রায় আড়াই লাখ যাত্রী।