আর্টিকেল নাইনটিন
মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা গণমাধ্যম–সংশ্লিষ্ট সবার জন্য হুমকি ও ভয়ের স্পষ্ট সংকেত
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন।
গতকাল বুধবার মধ্যরাতে সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করা হয়।
এ ঘটনা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন বলেছে, গণমাধ্যম সূত্রে তারা জেনেছে, মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনছারকে। এই মামলা এবং মামলায় আনা অভিযোগের বিষয়ে থানা–পুলিশ কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি। রমনা থানার এ মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা রয়েছেন।
বিবৃতিতে আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এ মামলা সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে আইনকে ব্যবহার করার একটি প্রত্যক্ষ উদাহরণ। এটি দেশের গণমাধ্যম–সংশ্লিষ্ট সবার জন্য হুমকি ও ভয়ের স্পষ্ট সংকেত।’
আইনকে অপব্যবহার করে আইনি হয়রানির এ ধরনের ধারাবাহিকতা বন্ধ করতে হবে। কারণ, এ ধরনের কর্মকাণ্ড একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।ফারুখ ফয়সল, আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক
ফারুখ ফয়সল আরও বলেন, ‘আইনকে অপব্যবহার করে আইনি হয়রানির এ ধরনের ধারাবাহিকতা বন্ধ করতে হবে। কারণ, এ ধরনের কর্মকাণ্ড একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।’
আর্টিকেল নাইনটিন মনে করছে, এ ধরনের ঘটনা শুধু সাংবাদিক নয়, সাধারণ জনগণের মধ্যে চলমান উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি এ ধরনের আচরণ জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত প্রত্যাহার এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা ও নির্যাতনের ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় আর্টিকেল নাইনটিন।
মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। এটি ১৯৮৭ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কাজ করছে।