সরকারি কাজের দরপত্রের শতভাগ হবে অনলাইনে, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
বর্তমানে সরকারি কাজের দরপত্রের ৬৫ শতাংশ হয় অনলাইনে। এটি শতভাগে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া প্রাক্কলিত দরের ১০ শতাংশের কম হলে দরপত্র প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান ছিল, সেটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এমন বিধান রেখে আজ বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সরকারি ক্রয়প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে এই সংশোধনী আনা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, দেখা যেত সিন্ডিকেট করে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে একই ধরনের দু-তিনটি প্রতিষ্ঠান বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কাজ পাচ্ছিল। এটি যাতে না হতে পারে, সে জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনীতে আগের কাজের মূল্যায়নের জন্য যে ম্যাট্রিক্স ছিল, যেটা থাকার কারণে একই প্রতিষ্ঠান বারবার কাজ পেত, তা বদলে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স করা হবে। এতে করে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে।
সরকারি কাজ কারা কারা পাচ্ছেন, তাঁদের অবস্থাটি কেমন, সেটি জানতে প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সিন্ডিকেট আছে কি না, সেগুলো দেখা হবে।
সরকারি পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা আগে নিজ নামে নামজারি করতে পারতেন না। সেই অসুবিধা দূর করতে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন আগামী শনিবার তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে।