টেলিযোগাযোগ খাতকে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে গড়তে রোডম্যাপ দেবে বিটিআরসি

বিটিআরসির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। ঢাকা, ২১ জানুয়ারিছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলেছে, এই খাতে অনেক ধরনের লাইসেন্স ও মধ্যস্বত্বভোগী হয়ে গেছে। এতে অসুস্থ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ব্যয়ও বাড়ছে। তারা এই জায়গায় পরিবর্তন আনতে এবং খাতটিকে ডিজিটাল সেবার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী এসব কথা জানান। সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পুনর্বিন্যাস নামে একটি কমিটি গঠন করে বিটিআরসি। আজ কমিটির বিষয়ে দেশীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়বস্তু জানান চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, কমিটির উদ্দেশ্য হচ্ছে টেলিযোগাযোগ খাতকে সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক এবং বৈচিত্র্যময়, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ ডিজিটাল সেবার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে গড়ে তোলা। এ লক্ষ্যে বিটিআরসির কমিটি সরকারের জন্য সুপারিশ তৈরি করবে। আগামী মার্চের মধ্যে এই কমিটি একটি রোডম্যাপ (পথনকশা) করে সরকারকে দেবে। এ ছাড়া জনসাধারণও বিটিআরসিকে সংস্কারে মতামত জানাতে পারবে।

আলোচনায় উঠে আসা টেলিযোগাযোগ খাতের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে এমদাদ উল বারী বলেন, বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে নেটওয়ার্ক পুনর্বিন্যাস, রূপান্তর, টেলিযোগাযোগকে ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর এবং বিনিয়োগবান্ধব টেকসই নীতিমালা করা। বিনিয়োগের অন্যতম বাধা টেকসই নীতির অভাব। অনেক নীতি পরিষ্কার না। সকাল–বিকেল পরিবর্তন হচ্ছে। বৈশ্বিক বড় কোম্পানিগুলো বিনিয়োগের নিশ্চয়তা চায়।

টেলিযোগাযোগ খাতে অনেক স্তর আছে উল্লেখ করে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, এই স্তরের কারণে অনেক মধ্যস্বত্বভোগী দাঁড়িয়ে গেছে। এদের পর্যালোচনা করে একটি সহজ ও সাশ্রয়ী নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যেখানে মধ্যস্বত্বভোগী কম থাকবে বা থাকবে না।

ইন্টারনেটের দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মো. এমদাদ উল বারী বলেন, ‘আমরা মনে করি, ইন্টারনেটের দাম অনেক কমে যাওয়া উচিত।’

কমিশনের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশ ও সংস্কৃতি ভেদে স্বাধীনতার তারতম্য হয়। বিটিআরসির কাজে এখন সরকারের অনুমোদন লাগে। এতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। যা দিয়ে স্বজনপ্রীতির সুযোগ তৈরি হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির কমিশনার, মহাপরিচালক ও পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।