বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হলেন হাসনাত আবদুল্লাহ
চার সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে এই কমিটি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের এই প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়কেরা জানান, শিগগিরই এই কমিটি বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমাসহ কয়েকজন সমন্বয়ক বক্তব্য দেন। সব সমন্বয়কের মতামতের ভিত্তিতে এই কমিটি করা হয়েছে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ যাতে অপকর্ম করতে না পারেন, সেই চিন্তা থেকে তাঁরা সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করতে চান। সেই লক্ষ্যে এই আহ্বায়ক কমিটি কাজ করবে। কমিটির প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে থাকবে অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংগঠিত করা ও মুজিববাদীদের সব অপতৎপরতার মূলোৎপাটন করা।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ায় সমন্বয়ক সারজিস আলমকে সংবাদ সম্মেলনে অভিনন্দন জানান অন্য সমন্বয়কেরা। সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি জাতীয় সংগঠন হিসেবে কাজ করবে। এটি কখনো রাজনৈতিক দলে রূপ নেবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ৫ আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন৷ পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়৷