যেকোনো জায়গায় বসেই নির্বাচন বন্ধ করতে পারি: সিইসি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) মনে করলে যেকোনো জায়গায় বসে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ কথা বলেন। গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকায় বসে সিসিটিভি দেখে ভোট বন্ধ করে দেওয়া কতটা যৌক্তিক—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাদের সঙ্গে বসে প্রত্যক্ষ করতে পারতেন। অনেকের বক্তব্য শুনেছি, এটা কী করে সম্ভব হলো অফিসে বসে এতগুলো কেন্দ্র দেখা। সিসিটিভি দেখে রাস্তার নিয়ন্ত্রণও বিভিন্ন দেশে করা হয়। সিস্টেমটাকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে একটা জায়গায় বসে ২০০, ৪০০ জায়গার ফ্যাক্টস সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। আমরা মনে করি, এটা জুতসই একটা প্রযুক্তি।’
প্রযুক্তি নিয়ে কথা নয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্ন ঢাকায় বসে আপনারা এভাবে কেন্দ্র বন্ধ করতে পারেন কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনের ৯১ ধারায় বলেছে, আমরা যদি মনে করি, কী দিয়ে মনে করলাম, ঢাকায় বসে মনে করব, না কুমিল্লায় বসে করব, না চট্টগ্রামে বসে করব বা আমরা জাহাজে বসে মনে করতে পারি, তা নয়; আমাদের কাছে যদি অনুমিত হয়, নির্বাচনটা সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, তাহলে নির্বাচন কমিশন যেকোনো কেন্দ্রের বা সব কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বিভ্রান্তিটা এ কারণে হতে পারে, আমি কীভাবে দেখেছি বা আপনারা কীভাবে দেখেছেন। আমি যদি ওদের একজন হতাম, তাহলে আমার কাছে নিশ্চয় এ প্রশ্নই উঠত। কাজেই জিনিসটা পরিষ্কার হওয়া উচিত সবার কাছে যে আমরা দেখেশুনে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং দেখেছি।’
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে উপনির্বাচনে গতকাল বুধবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে নানা অনিয়মের কারণে একের পর এক কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে ইসি। দুপুর নাগাদ এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে বেলা আড়াইটার দিকে পুরো ভোট গ্রহণই বন্ধ ঘোষণা করা হয়।