কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ: অপারেটরদের বিবৃতি
সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে আজ রোববার সকালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও সংঘাত-সংঘর্ষ শুরু হয়। এ অবস্থায় আজ দুপুর ১২টার দিক থেকে সরকারের নির্দেশে মোবাইল অপারেটররা দেশজুড়ে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ রেখেছে।
সরকারি সংস্থার নির্দেশেই মোবাইল ইন্টারনেট–সেবা বন্ধ রাখার বিষয়টি বিবৃতি দিয়ে নিশ্চিত করেছে মোবাইল অপারেটররা। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কর্তৃপক্ষ মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছে। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।’
ফোর-জি বন্ধ থাকলে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। তখন শুধু টু-জির মাধ্যমে কথা বলা যায়। এতে সাধারণ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাসহ নেটভিত্তিক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা বড় ধরনের সমস্যা ও লোকসানে পড়েন। দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটির বেশি।
টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৮ জুলাই বেলা তিনটার দিকে মোবাইল ইন্টারনেট–সেবা চালু হয়। এর সাত দিনের মাথায় আবার মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ আসে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে সরকার। পাঁচ দিনের মাথায় ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু করা হয়। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। কিন্তু ফেসবুকসহ মেটার অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ রাখা হয়েছিল। স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকও বন্ধ ছিল।
এদিকে ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। ৩১ জুলাই ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ধীরে ধীরে চালু করা হয়।
তবে গত শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি এই নেটওয়ার্কে টেলিগ্রামও বন্ধ করা হয়েছিল। তবে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর তা পুনরায় চালু করা হয়েছিল।