গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর না হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ক্ষোভ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর না হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গ্রেপ্তার কার্যকর করার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ অসহযোগিতা করে থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ বৃহস্পতিবার এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনাল আজ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তবে তাঁদের নাম–পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১০৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

পরে এ–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এগুলো প্রকাশ্যে বলার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছেন না। তবে পরোয়ানা দ্রুত কার্যকর করতে ট্রাইব্যুনাল ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বলে তিনি জানান।

একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এর আগে দেখা গেছে, আপনারা (ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউটর) কারও বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে তাঁদের নাম বলতেন না। এখন দেখা যাচ্ছে, আপনারা ঘটনাটাও বলতে চাইছেন না। এর কারণ কী? জবাবে মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটা বললে পরিষ্কার হয়ে যায়, কার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে বা চাইতে পারে। কাজেই গোপনীয়তার স্বার্থে এটা বলা হচ্ছে না।’

দুই মাস সময় বাড়ল

গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন ও যাত্রাবাড়ী অঞ্চলের সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার তানজিল আহমেদের বিষয়ে তদন্ত প্রদিবেদন দাখিলের সময় দুই মাস বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ এ সময় বৃদ্ধির আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন এবং আগামী ৬ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।

নথি জব্দ ও তল্লাশি করতে পারবেন তদন্ত কর্মকর্তা

প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালের কাছে তিনি দুটি আবেদন করেছিলেন। দুটিই মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এর একটি হলো তদন্তের জন্য কোনো নথিপত্র বা জিনিস জব্দ এবং তল্লাশি করতে পারবেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা। তল্লাশি করে মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো বস্তু পেয়ে গেলে তা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে পারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ।