বিপ্লব উদ্যানের সবুজ ফিরিয়ে আনার দাবি

বিপ্লব উদ্যানে সবুজ ফিরিয়ে আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অধিকার রক্ষা পরিষদ। আজ বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেট এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

বিপ্লব উদ্যানের সবুজ ধ্বংস করে স্থাপনা নির্মাণ ও বাণিজ্যিকীকরণের চুক্তি বাতিল, সবুজ ফিরিয়ে আনাসহ ছয় দফা দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অধিকার রক্ষা পরিষদ। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের ২ নম্বর গেট মোড়ে বিপ্লব উদ্যানের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অধিকার রক্ষা পরিষদের মুখপাত্র আসমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও সুবাইতা সুলতানার পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন জ্যোতি বড়ুয়া, মো. ফারদিন, আফরোজা নীলা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী, উদ্যানে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশের বেশি কংক্রিট অবকাঠামো থাকতে পারবে না। আর আন্তর্জাতিকভাবে ২ শতাংশও অনুমোদন করে না। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরের ২ নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানের কংক্রিট অবকাঠামোর পরিমাণ অন্তত ৫৫ শতাংশ। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে তৎকালীন মেয়ররা এই চুক্তিকে আরও পাকাপোক্ত করেন।

বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে দিন দিন উন্মুক্ত পরিসরের পরিমাণ কমছে। সিটি করপোরেশন বিদ্যমান উদ্যানগুলোকে বাণিজ্যিকীকরণ করেছে। দফায় দফায় জনগণের আন্দোলন, মতামতের তোয়াক্কা না করে উদ্যান ধ্বংসের চুক্তি করা হয়েছে। অবিলম্বে বিপ্লব উদ্যান ধ্বংসের এ বাণিজ্যিক চুক্তি ও প্রকল্পটি বাতিল করে সবুজ ঘন উদ্যান ফিরিয়ে আনতে হবে।

এ ছাড়া সমাবেশ থেকে বক্তারা সর্বসাধারণের বিনোদন ও বিশ্রামের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে উন্মুক্ত পার্ক তৈরি করা, অপসারণকৃত কাজীর দেউড়ি শিশুপার্কের স্থানে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত পার্কের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন পার্কের প্রবেশমূল্য কমানোর দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন ও বিনিয়োগ নিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি হয় সিটি করপোরেশনের। এর আগে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর ২০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়েছিল রিফর্ম ও স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। পাঁচ বছরের মধ্যে পুরোনো চুক্তি সংশোধন করে নতুনভাবে করা হয়। এবার চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড। শুধু রিফর্ম কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি হয়।