কর্ণফুলী নদী ইজারা
চেয়ারম্যানসহ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবমাননার রুল
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত অবমাননার অভিযোগে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
‘আদালতের আদেশ অনুসরণ না করে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর জায়গা ইজারা দেওয়ার উদ্যোগকে’ কেন্দ্র করে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) আদালত অবমাননার ওই আবেদনটি করে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের রায় অনুসরণ না করে কর্ণফুল নদীর জায়গা ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, বন্দরের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও ডেপুটি ম্যানেজার (স্টেট) মো. শিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পত্রিকায় গত ৭ নভেম্বর প্রকাশিত ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রমও তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
আবেদনকারীপক্ষ জানায়, কর্ণফুলী নদী রক্ষার্থে এইচআরপিবি ২০১০ সালে একটি রিট করে। শুনানি শেষে ২০১৬ সালে হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদীর সীমানা জরিপ অনুসারে নদী সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন। এই রায় ও নির্দেশনা অনুসরণ না করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে একটি পত্রিকায় গত ৭ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে ফিরিঙ্গি বাজার মৌজার আরএস ৬০১ দাগ ১০ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
বিষয়টি নজরে এলে গত ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ তিন কর্মকর্তার প্রতি নোটিশ পাঠানো হয়। দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে গতকাল সোমবার আবেদনটি করে এইচআরপিবি।