দলবাজিতে দুর্বল স্বাস্থ্য খাতে অস্থিরতা
আ.লীগ-বিএনপি দুই আমলেই দলীয়করণ। স্বাচিপ-ড্যাপের বাইরে নিরপেক্ষ চিকিৎসকেরা সবচেয়ে বেশি বঞ্চনার শিকার।
দলীয় রাজনীতি স্বাস্থ্য খাতকে দুর্বল করেছে। সেবার মান উন্নত করার চেয়ে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন ক্ষমতাসীনেরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই সরকারি হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার স্বাস্থ্য খাতে রাজনৈতিক ভারসাম্য তৈরি করবে, নাকি যোগ্য লোক দিয়ে স্বাস্থ্য খাত চালাবে—এ প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগপর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রগুলো প্রবল শক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। নিয়োগ-বদলিতে প্রভাব রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে ব্যবসাও করেছেন স্বাচিপের নেতারা।
সার্চ কমিটি করে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে বের করতে হবে। বঞ্চনা বজায় রেখে, যোগ্য ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে স্বাস্থ্য খাত ঠিকভাবে চালানো যাবে না।সৈয়দ আবদুল হামিদ, অধ্যাপক, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শুধু তা–ই নয়, বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সদস্যদের নানাভাবে বঞ্চিত করেছে স্বাচিপ। সব ধরনের যোগ্যতা থাকার পরও বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের যথাসময়ে পদোন্নতি হয়নি। তাঁদের কোনো প্রকল্পপ্রধান করা হয়নি। স্বাচিপ বা ড্যাবের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন, অর্থাৎ স্বতন্ত্র চিকিৎসকেরাও বঞ্চিত হয়েছেন। নজির আছে, যোগ্যতার মূল্যায়ন না হওয়ায় অপমানে, হতাশায় অনেকে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
ঠিক বিপরীত চিত্র ছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। স্বাস্থ্য খাতের সব ক্ষেত্রে ছিল ড্যাবের একচ্ছত্র আধিপত্য। ড্যাবের নেতা-কর্মীদের দাপটে তখন স্বাচিপ ছিল কোণঠাসা। স্বতন্ত্রদের একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেই আমলেও। স্বাচিপ ও ড্যাবের দাপটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা খাত ও চিকিৎসা শিক্ষাব্যবস্থা। এদের গোষ্ঠীস্বার্থ স্বাস্থ্য খাতের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় রাজনীতি সেবা খাতকে কতটা দুর্বল করতে পারে, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ স্বাস্থ্য খাত। অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় স্বাস্থ্য খাতে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি থাকা উচিত। স্বাচিপ ও ড্যাবকে সক্রিয় রেখে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার করা সম্ভব হবে না।
ওপিতে বড়-মেজ-ছোট ভাই
স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ কাজ বাস্তবায়িত হয় মূলত স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কর্মসূচির মাধ্যমে। কর্মসূচিটি পাঁচ বছর মেয়াদি। চতুর্থ কর্মসূচি শেষ হয়েছে বছর দুয়েক আগে। পঞ্চম কর্মসূচি এ বছরের জুলাই মাসে শুরু হওয়ার কথা ছিল। এতে মূল টাকা দেয় সরকার, একটি অংশ দেয় উন্নয়ন–সহযোগীরা।
স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কর্মসূচি চলে ৩১টি অপারেশন প্ল্যান (ওপি) বা বিষয়ভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে। যেমন: পুষ্টি, সংক্রামক রোগ, অসংক্রামক রোগ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য, বিকল্প চিকিৎসা, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য—এ ধরনের বিষয়ের জন্য পৃথক পৃথক ওপি। ওপিতে পাঁচ বছরের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকে।
প্রতিটি ওপিতে লোভনীয় তিনটি পদ আছে: লাইন ডিরেক্টর, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার। লাইন ডিরেক্টর থাকেন একজন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার থাকেন এক বা দুজন এবং ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার থাকেন ২ থেকে ১০–১২ জন পর্যন্ত। বর্তমানে প্রায় সব পদ দখল করে আছেন স্বাচিপের সদস্যরা। এ ক্ষেত্রে মেধা বা যোগ্যতা দেখা হয়নি। তাঁরা ছাত্রজীবনে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। সাধারণত সাবেক ছাত্রলীগের বড় ভাই লাইন ডিরেক্টর, বয়সে কিছু ছোট প্রোগ্রাম অফিসার এবং ছোট ভাই ডেপুটি প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কাজ করেন। অভিযোগ আছে, ভাইয়েরা এক জোট হয়ে স্বাস্থ্য খাতে কেনাকাটা, বিদেশ সফর ও প্রশিক্ষণে দুর্নীতি করেন।
ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার করেছিলেন অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর কিছুদিন পর দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। প্রশাসন পরিচালনার কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও তখন মহাপরিচালকের আসনে বসানো হয় অধ্যাপক খুরশীদ আলমকে। তাঁর সরকারি চাকরির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে তাঁর চাকরির মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
১১টি প্রতিষ্ঠান ও মেডিকেল কলেজের শীর্ষ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন অধ্যাপকের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে একই প্রক্রিয়ায়। তবে বিএনপিপন্থী কোনো চিকিৎসক এই সুবিধা পাননি।
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের ক্ষোভ ও হতাশার চিত্রটি স্পষ্ট বোঝা যায় অন্তর্বর্তী সরকারের একটি পদক্ষেপ থেকে। অন্তর্বর্তী সরকার গত রোববার আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (চলতি দায়িত্বে) দায়িত্ব দেয়। রোবেদ আমিন অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত রোবেদ আমিন কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি। ড্যাবের নেতা-কর্মীরা অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁরা চাইছেন বঞ্চিত কাউকে মহাপরিচালকের পদে বসাতে।
রোবেদ আমিনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে ড্যাব। গত সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ডিএনসিসি হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং রোবেদ আমিনসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা। সেখানে জোর করে ঢুকে পড়েন ড্যাবের নেতা-কর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন কিছু চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। সেখানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ড্যাবের নেতা-কর্মীরা সভাকক্ষে ঢুকে চিৎকার করতে থাকেন। এ পর্যায়ে একজন চিকিৎসক টেবিলের ওপর দাঁড়িয়ে যান। তাঁদের অভিযোগ, রোবেদ আমিন দুর্নীতি করেছেন, তাঁর অবস্থান ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে। পুরো ঘটনার সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমকে অসহায় অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনার পর রোবেদ আমিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সব মিথ্যা।
চিকিৎসা শিক্ষায় দলবাজি
দলীয়করণের চূড়ান্ত উদাহরণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত পরপর নিয়োগ পাওয়া পাঁচ উপাচার্যের সবাই স্বাচিপের সদস্য বা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। শুধু তা–ই নয়, উপাচার্যের সঙ্গে থাকা সহ–উপাচার্য, প্রক্টর বা অন্যরাও স্বাচিপের সদস্য। ভিন্নমতের কেউ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বড় কোনো পদে নেই।
বিএনপির শাসনামলে (২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৬ সালে) নিয়োগ পাওয়া ১৭৩ জন চিকিৎসকের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে এক দিনে, সরকার পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট। এই ১৭৩ জন ছাড়াও ভিন্ন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আরও শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে ছিল। এখন গোপনে তাঁদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।
এসব পদোন্নতি দেওয়ার প্রক্রিয়া যখন প্রায় শেষ, তখন চাপের মুখে রোববার বিএসএমএমইউর উপাচার্য, দুজন সহ–উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকার আরও চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি নিয়েছিল। প্রতিটির উপাচার্য করা হয়েছিল স্বাচিপের সদস্যকে।
এই দলবাজি শুধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনের প্রায় ৫০ জন স্বাচিপের সদস্য অথবা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ।
দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে ৪৯৫টি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়, যাঁর দলীয় আনুগত্য আছে। কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দলীয় ব্যক্তি বসে আছেন।
এদিকে সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিয়া এবং দুই অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ ও অধ্যাপক কামরুল হাসানকে ওএসডি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাঁরা তিনজনই ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন, তিনজনই স্বাচিপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কামরুল হাসান বর্তমানে স্বাচিপের মহাসচিব। ড্যাবের নেতারা চাইছেন এসব পদে তাঁদের লোক বসাতে।
একমাত্র ওষুধ প্রতিষ্ঠান
একমাত্র সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড বা ইডিসিএল। ইডিসিএলের ঢাকা, বগুড়া, গোপালগঞ্জের কারখানায় ওষুধ তৈরি হয়। খুলনার একটি কারখানায় কনডম তৈরি হয়। কনডম তৈরির রাবার উৎপাদন হয় মধুপুরে।
ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একজন আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি ওষুধবিজ্ঞানী নন, চর্মরোগবিশেষজ্ঞ। এ প্রতিষ্ঠানে চার হাজারের বেশি মানুষ কাজ করেন। তাঁদের সিংহভাগ শ্রমিক শ্রেণির। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অর্ধেক জনবলে এই প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব। স্বাস্থ্য খাতের এই একমাত্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে একটি জেলার মানুষের প্রাধান্য লক্ষণীয়।
এখন করণীয়
এতকাল যাঁরা বঞ্চিত ছিলেন তাঁরা বলছেন, এবার সময় এসেছে পাওনা বুঝে নেওয়ার। ড্যাবের চিকিৎসকেরা চড়াও হচ্ছেন কর্তৃপক্ষের ওপর। ইতিমধ্যে বিএসএমএমইউ, জাতীয় মানসিক হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্স ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরাও মিছিল করছেন, ভাঙচুরে অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, গত ১৬ বছরে তাঁরা নানাভাবে বঞ্চিত হয়েছেন।
দলীয় রাজনীতি অধ্যুষিত ও বঞ্চনার অভিযোগ থাকা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো সেবামুখী করা কঠিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, যোগ্য ও সৎ মানুষ কারা, তা অনেকটাই জানা। এসব মানুষকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রাধান্য দিতে হবে যোগ্য অথচ বঞ্চিতকে। রাজনৈতিক ভারসাম্য আনতে দুই দলের মানুষকে সমানভাবে জায়গা দিলে সেবার মান বাড়বে না।
করণীয় জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, একটি সরকারকে সরিয়ে আরেকটি সরকার ক্ষমতায় আসেনি। এখানে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলে। সরকারকে একটি সার্চ কমিটি করতে হবে। যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে বের করতে হবে। যোগ্য ও বঞ্চিত ব্যক্তিকে তাঁর প্রাপ্য স্থান দিতে হবে। বঞ্চনা বজায় রেখে, যোগ্য ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে স্বাস্থ্য খাত ঠিকভাবে চালানো যাবে না।