এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকবে, সারা দেশে কমবে গ্যাস সরবরাহ
দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদনের পাশাপাশি কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করা হয়। চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি থাকায় নিয়মিত গ্যাস–সংকটে ভুগছে বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও আবাসিক খাতের গ্রাহকেরা। এর মধ্যে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য একটি টার্মিনাল টানা তিন দিন বন্ধ থাকবে। এতে সারা দেশে গ্যাস–সংকট আরও কিছুটা বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) আজ মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত টার্মিনাল থেকে ৭২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময় অন্য টার্মিনাল থেকে দিনে ৫৭ থেকে ৫৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। দিনে ১৫ থেকে ১৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে। এতে দেশের কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করবে।
দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। গতকাল সোম থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ প্রতিবেদন বলছে, দিনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ২৭৬ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে এলএনজি থেকে এসেছে ৮৩ কোটি ঘনফুট। এ হিসাবে একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধে গ্যাসের সরবরাহ কমতে পারে ২০ কোটি ঘনফুটের বেশি।
জনসাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া গ্যাস বিতরণ সংস্থাগুলোও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে। এর বাইরে গ্যাসপাইপলাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য বুধবার রাজধানীর কিছু এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এক বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস বলেছে, তিতাস অধিভুক্ত ৫৯/এফ, পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় গ্যাস পাইপলাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে। এতে বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ১১ ঘণ্টা পশ্চিম রাজাবাজার, ইন্দিরা রোড ও শুক্রাবাদ এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।