জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা সরাসরি সম্প্রচারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্টে জনগুরুত্বপূর্ণ বা সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার ক্ষেত্রে লাইভ স্ট্রিমিং (সরাসরি সম্প্রচার) ব্যবস্থা প্রবর্তনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। আইনজীবী, শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীসহ ১০ জন আবেদনকারী হয়ে আজ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি পারে বলে জানিয়েছে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

তথ্য জানার অধিকার আইন দিয়ে স্বীকৃত উল্লেখ করে আইনজীবী শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, স্বচ্ছ বিচার পাওয়া সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ মামলা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিচার মৌলিক অধিকার। লাইভ স্ট্রিমিং ব্যবস্থা চালু হলে বিচারিক প্রক্রিয়ার জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। মূলত এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছে।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩৫(৩) অনুচ্ছেদের অধীন মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা অনুসারে সুপ্রিম কোর্টে জনগুরুত্বপূর্ণ বা সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার কার্যক্রম লাইভ স্ট্রিমিং (সরাসরি সম্প্রচার) ব্যবস্থা প্রবর্তনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে আদালতের কার্যধারা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জন্য নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠনের প্রার্থনা জানানো হয়েছে রিটে।

পাইলট প্রকল্প হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্বাচিত কিছু মামলার কার্যধারা লাইভ স্ট্রিমিংয়ে সহযোগিতা দিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইন সচিব এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনকারীরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, ঢাকা কোর্টের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ; শিক্ষানবিশ আইনজীবী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, সাব্বির আহমেদ ও মাহমুদুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম শহিদী, মো. রফিকুল সাব্বির ও হাবিবুর রহমান আল হাসান।