দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি হলো মানবসম্পদ। মানবসম্পদ উন্নয়নে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে দেশের উন্নয়ন থমকে যাবে। মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এতে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হবে।
শুক্রবার ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানবসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব পরামর্শ দিয়েছেন বক্তারা। বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের (বিএসএইচআরএম) উদ্যোগে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএইচআরএমের সভাপতি মো. মাশেকুর রাহমান খান। তিনি বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান বা দেশের সব সম্পদের চালিকা শক্তি হচ্ছে মানবসম্পদ। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা গেলে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হবে।
মানবসম্পদ উন্নয়নে বিএসএইচআরএমের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন মাশেকুর রাহমান খান। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে একটি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা; কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা; শিক্ষাব্যবস্থাকে টেকসই, জনবান্ধব ও মেধাভিত্তিক করতে একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করা; এই কমিশনে একজন অভিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদকে দায়িত্ব দেওয়া এবং বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে মানবসম্পদ পেশাজীবী নিয়োগ করা।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি হলো মানবসম্পদ। দেশে যত সম্পদ ও সম্ভাবনাই থাকুক না কেন, মানুষ যদি এই সম্পদকে আহরণ ও উপযোগী করে তুলতে না পারে, তাহলে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। মানবসম্পদ উন্নয়নে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে দেশের উন্নয়ন থমকে যাবে। তাই শিক্ষার মান বাড়ানো, প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন জরুরি।
গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসএইচআরএমের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুত্তাকিন হাসান। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জি এম শরীফ, কামাল উদ্দিন জসীম, হুমায়রা শারমীন ও মাহবুবুর রহমান।